টাওয়ারের মাথাতে এক যুবককে ঝুলতে দেখলেন শহরবাসী। ছবি: সংগৃহীত।
শহরের মাঝামাঝি উঁচু টাওয়ারটিতে বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং আটকানো থাকে। বুধবার সকালে সেই টাওয়ারের মাথাতেই এক যুবককে ঝুলতে দেখলেন শহরবাসী। টাওয়ারের লোহার খাঁচার বেড় ধরে ঝুলছিলেন তিনি। সেখান থেকে নীচে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টাও করছিলেন মাঝে মধ্যেই। ৩০ ফুট উঁচু (প্রায় তিনতলা বাড়ির সমান) টাওয়ারের উপর থেকে মাটিতে পড়লে ওই যুবকের কী অবস্থা হতে পারে ভেবে শিউরে ওঠেন সবাই। খবর যায় পুলিশের কাছে। এর পর বেশ কয়েক ঘন্টার চেষ্টায় আত্মহত্যা করতে চাওয়া যুবককে টাওয়ার থেকে নীচে নামাতে সফল হয় পুলিশ এবং দমকলকর্মীরা। কিন্তু দীর্ঘ সেই প্রক্রিয়ায় নাজেহাল দশা হয় উদ্ধারকারীদের। দিনভর শহরের কেন্দ্রে উদ্ধার কাজ ঘিরে তৈরি হতে থাকে একের পর এক নাটকীয় মুহূর্ত।
ঘটনাটি ভুবনেশ্বরের। শহরের প্রাণ কেন্দ্র শিশু ভবন স্কোয়ারের এক বিজ্ঞাপনের হোর্ডিংয়ের টাওয়ারে উঠে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই যুবক। পুলিশ জানিয়েছে তাঁর নাম টুলু পাত্র। তিনি বালাসোরের বাসিন্দা। পুলিশ এবং দমকলকর্মীদের দল তাঁকে উদ্ধার করতে গেলে টুলুকে চিৎকার করে বলতে শোনা যায়, তাঁর প্রতি হওয়া অবিচারের প্রতিবাদ করতেই আত্মহত্যা করতে চান তিনি। যদিও তাঁর সঙ্গে কে বা কারা অবিচার করেছেন, কী সেই অবিচার, তা জানা যায়নি।
কয়েক ঘণ্টার অভিযানে টুলুকে উদ্ধার করার পর তাঁকে আটক করে পুলিশ। তিনি কেন আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন সে ব্যাপারে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর। তবে টুলুর পরিচিতরা এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরেই তিনি পাড়ায় বলে বেড়াচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী এবং সন্তানেরা তাঁর কথা শুনছে না। তবে সে জন্যই টুলু বালাসোর থেকে ভুবনেশ্বরে আত্মহত্যা করতে এসেছিলেন কি না, তা পুলিশ জেরা করে জানার চেষ্টা করছে।