Presidency University

শুভ্রকমলেই ভরসা আনন্দের, রবীন্দ্রভারতীর পর প্রেসিডেন্সির মাথাতেও প্রাক্তন বিচারপতি

রবিবার রাতে রাজভবন থেকে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য হিসাবে প্রাক্তন বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়কে নিয়োগ করা হয়। এ দিনই ক্যাম্পাসে এসে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।

প্রতিবেদন: প্রচেতা, সম্পাদনা: সুব্রত

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:৩৮
Share:
Advertisement

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য হিসাবে প্রাক্তন বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়কে নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস। প্রসঙ্গত, এর আগে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়েরও অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য হিসাবে বিচারপতি মুখোপাধ্যায়কেই দায়িত্ব দিয়েছিল রাজভবন। তাঁর সেই নিয়োগের পরই বিতর্কের সূচনা হয়েছিল। উপাচার্য হিসাবে তাঁর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল শিক্ষামহলের একাংশ। দায়িত্ব নেওয়ার ক’দিনের মধ্যেই শুভ্রকমল অভিযোগ তুলেছিলেন, রবীন্দ্রভারতী ক্যাম্পাসে তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। পাল্টা তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের ঘরে মদ্যপানের অভিযোগ এনেছিলেন কর্মচারীদের একাংশ। এ বারে রবীন্দ্রভারতীর পাশাপাশি প্রেসিডেন্সিরও দায়িত্ব পেলেন শুভ্রকমল। আনন্দবাজার অনলাইনের মুকোমুখি হয়ে তিনি জানালেন, দুই ক্যাম্পাসে গিয়েই কাজ করবেন তিনি।

শুধু প্রেসিডেন্সিই নয়, রবিবার রাতে রাজ্যের উপাচার্যহীন ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়েই অস্থায়ী বা অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সম্প্রতি রাজ্যপাল ঘোষণা করেছিলেন, রাজ্যের এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে প্রয়োজন পড়লে উপাচার্যের ভূমিকা পালন করবেন তিনি নিজে। কিন্তু, রবিবার রাতে রাজভবনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে নতুন অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য নিয়োগ করা হচ্ছে।দীর্ঘ দিন ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজভবন বনাম সরকারের টানাপড়েন চলছে। শনিবারই রাজভবনের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছিল, আচার্যের পর উপাচার্যই হবেন যে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বেসর্বা। তাঁর অধস্তন, যেমন সহ-উপাচার্য বা রেজিস্ট্রারদের তাঁরই নির্দেশ পালন করে চলতে হবে। সরকার তাঁদের নির্দেশ দিলেও তা তাঁরা মানতে বাধ্য নন। সে ক্ষেত্রে উপাচার্য মান্যতা দিলে তবেই সরকারি নির্দেশ পালন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কর্তারা। রাজভবনের ওই নির্দেশ নিয়ে আবার বিতর্ক শুরু হয়। রাজ্যের শিক্ষাবিদদের অনেকেই এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপর নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকার বা শিক্ষা দফতরকে এই নির্দেশে কার্যত অপাংক্তেয় করে দেওয়া হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন অনেকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
সর্বশেষ ভিডিয়ো
Advertisement