জেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই মুক্তি পেতে চলেছেন নভজ্যোৎ সিংহ সিধু। সিধুর টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে শুক্রবার দুপুরে লেখা হয়, “সবাইকে জানাতে চাই যে, নভজ্যোত সিংহ সিধু আগামিকাল পাতিয়ালা জেল থেকে মুক্তি পেতে চলেছেন।” এই খবর পাওয়ার পর থেকেই পাতিয়ালা জেলের বাইরে ভিড় জমাতে থাকেন কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকেরা।
১৯৮৮ সালের একটি অপরাধের ঘটনায় ২০২২-এর মে মাসে সাজা হয় সিধুর। তিনি ও তাঁর বন্ধু রূপিন্দর সিংহ সাঁধু রাস্তার মাঝখানে গাড়ি রেখে চলে যাওয়ায় গুরনাম সিংহ নামের মারুতিচালক এক বৃদ্ধ প্রতিবাদ করেন। সেই নিয়ে তর্ক চলাকালীন ৬৫ বছরের ওই বৃদ্ধকে সপাটে থাপ্পড় মারেন সিধু। মাথায় আঘাত পেয়ে মারা যান গুরনাম। পুলিশ সিধুকে গ্রেফতার করলেও নিম্ন আদালত প্রমাণের অভাবে সিধু এবং তাঁর সহযোগীকে বেকসুর খালাস করে দেয়। পরবর্তী সময়ে পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাই কোর্টে সিধু দোষী সাব্যস্ত হন। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সিধু সুপ্রিম কোর্টে গেলে শীর্ষ আদালত হাই কোর্টের রায় খারিজ করে দেয়। নিহতের পরিবার রায় পুনর্মূল্যায়ন করার আর্জি জানান। অবশেষে ২০২২ সালের মে মাসে ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করার অভিযোগে সিধুকে এক বছরের জেলের সাজা শোনায় সুপ্রিম কোর্ট।
২০২২ সালের ২০ মে পাতিয়ালা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন পঞ্জাবের প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি সিধু। চলতি বছরের ১৯ মে ছাড়া পাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, জেলের ভিতর ভাল ব্যবহার করার জন্য আগেই ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে সিধুকে।