গত বছর তো পরীক্ষাই হয়নি, তবুও এত এত নম্বর পেয়ে পাশ করে গেল সকলে। এ বছর আমরা পরীক্ষা দিয়েছে, তা হলে কেন অকৃতকার্য হব? এই ‘আশ্চর্য’ প্রশ্ন তুলে সোমবার বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শনে শামিল হলেন উচ্চ মাধ্যমিকের কিছু ‘অসফল’ পড়ুয়া। পরীক্ষায় পাশ করানোর দাবিতে সোমবার ওই পড়ুয়ারা স্লোগান তোলেন, ‘‘আমাদের দাবি মানতে হবে।’’
বিক্ষোভরত এক ছাত্রীর অভিযোগ, ‘‘গত বার পরীক্ষাই হয়নি, দিলে হয়ত অনেকেই ফেল করত তবুও তাদের পাশ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ আর এক ছাত্রীর কথায়, ‘‘আমরা মাধ্যমিকে প্রথম বিভাগে পাশ করেছি। কী করে আমরা অকৃতকার্য হতে পারি?’’ অপর এক ছাত্রীর বক্তব্য, ‘‘আমরা শুনেছি, আমাদের উত্তরপত্র ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। কেন আমাদের প্রজেক্টে ফুল মার্কস দেওয়া হল না?’’ ওই পড়ুয়াদের দাবি, অধিকাংশই ইংরেজিতে অকৃতকার্য হয়েছে।
চাঁদপুর সরকার পোষিত উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়া ঈশা বারিক বলেন, ‘‘গতবছর সকলে পরীক্ষা না দিয়ে পাশ করেছে। এ বছর আমরা পরীক্ষা দিয়ে পাশ করব না কেন? আমাদের সকলকে পাশ করাতে হবে।’’ বারাসত প্রিয়নাথ বালিকা বিদ্যালয়ের পূজা দাসের আক্ষেপ, ‘‘আমরা কি ৩৫ পাওয়ারও যোগ্য নই? আমরা মাধ্যমিকে স্টার পেয়েছিলাম। আমদের একটা বছর নষ্ট করা যাবে না।’’
সোমবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করানোর দাবিতে যশোর রোড অবরোধ করে আত্মহত্যার হুমকি দেন বনগাঁ কুমুদিনী স্কুলের পড়ুয়ারা। ওই পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলেও পড়ুয়াদের দাবি, তাঁদের সকলকে পাশ করিয়ে দিতেই হবে। এই দাবি না মানলে রাস্তাতেই অনশন আন্দোলনের হুমকিও দিয়েছেন পড়ুয়ারা। বনগাঁর যশোর রোডের মতোই পথ অবরোধ হয় হুগলির চুঁচুড়ায়। চুঁচুড়ার ঘড়ির মোড়ে সোমবার সকাল থেকেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন উচ্চ মাধ্যমিকে অসফল ছাত্র-ছাত্রীরা। দেশবন্ধু গার্লস নারী শিক্ষামন্দির, জ্যোতিষচন্দ্র বিদ্যাপীঠ-সহ বেশ কয়েকটি স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা অবরোধে শামিল হন। অবরোধের জেরে রাস্তায় যানজট দেখা দেয়। পরে চুঁচুড়া থানার পুলিশ গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের বুঝিয়ে অবরোধ তোলার চেষ্টা করে। উত্তর ২৪ পরগনা বা হুগলির মতোই বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে বীরভূমে।