সাগরের প্রাচীন কপিলমুনি মন্দিরকে সমুদ্রের গ্রাস থেকে বাঁচাতে জাপানি প্রযুক্তিতে বাঁধ দেওয়া হয়েছিল। গঙ্গাসাগর মেলার ঠিক আগে ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি সেই বাঁধ কী ভাবে নষ্ট হয়ে গেল, তা দেখতে এলাকা পরিদর্শনে গেলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। সঙ্গে ছিলেন সুমিত গুপ্ত এবং সেচ দফতরের আধিকারিকেরা।
প্রাচীন কপিলমুনির মন্দির সমুদ্র গ্রাস করেছে বেশ কয়েক বছর আগে। এখনকার মন্দিরটি পরে তৈরি হয়। কিন্তু সমুদ্র একটু একটু করে এগিয়ে আসছে। স্থানীয় সূত্রের খবর, মন্দিরের সামনে সমুদ্রতটের পাড় ভাঙার সমস্যা দীর্ঘদিনের। ভাঙনের জেরে গঙ্গাসাগর মেলার মাঠের আয়তন ধীরে ধীরে ছোট হয়ে যাচ্ছে। প্রতি বছর গঙ্গাসাগরে ১০০-২০০ ফুট এলাকা সমুদ্র গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গঙ্গাসাগর মেলার ঠিক আগে বাঁধ দেওয়া হয়েছিল। যা এখন নষ্ট হয়ে গিয়েছে। চলতি বর্ষায় পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে, এই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। শনিবার এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে এ বার ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নয়া ভাঙনরোধ প্রকল্পের কথা জানালেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী। নতুন প্রকল্পের কাজ কী ভাবে হবে, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখেন সেচমন্ত্রী পার্থ।