জুন মাসের বিকেলে দক্ষিণ কোরিয়ার গুমি শহরের পুরসভার সিঁড়ির চাতালে ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে থারতে দেখা যায় একটি রোবটকে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সিঁড়ি থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে পুরসভার কর্মী ওই যন্ত্রমানব।
গুমি পুরসভায় ‘সুপারভাইজ়ার’ হিসেবে কর্মরত ছিল এই রোবটটি। রোবটটির মূল কাজ ছিল ডেস্কে-ডেস্কে নথি পৌঁছে দেওয়া এবং তথ্য সরবরাহ করা। ৯টা-৬টার ডিউটি। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, জুনের বিকেলের ওই ঘটনার আগে, একই জায়গায় বার বার গোল চক্কর খাচ্ছিল ওই রোবট। যদিও, রোবট নির্মাণকারী সংস্থা ‘বিয়ার রোবোটিক্স’ দাবি করেছে, আত্মহত্যা নয়, বিগড়ে গিয়েছিল তার সেন্সরটি। আর তাতেই বিপত্তি।
২০২৩ সালে টেসলার একটি রোবটের যন্ত্রপাতি বিগড়ে গিয়ে আহত হয়েছিলেন এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। দক্ষিণ কোরিয়ার ঘটনার রোবট কিন্তু অন্যকে আঘাত দেয়নি। নিজেকেও আঘাত দিল কি? সত্যিটা যাই হোক না কেন, একটি যন্ত্রের মৃত্যু যে আগামিদিনে অনেক গল্পের জন্ম দেবে তাতে সন্দেহ নেই।