প্রতিবেদন: সৌরভ, সম্পাদনা: সৈকত
২০১৩ সালে প্রথম পুজো। দেখতে দেখতেই দশ বছর পার। এ বার এগারোয় পা সোনাগাছির দুর্গাপুজোর। কালীঘাট, খিদিরপুর, টালিগঞ্জ, বউ বাজার, জোড়াবাগান, রামবাগান-সহ কলকাতার অন্তত বারোটি যৌনপল্লি দুর্বারের এই পুজোতে নিজেদের সামিল করে। এ বারই সোনাগাছির বাইরেও যৌনকর্মীরা দুর্গাপুজোর আয়োজন করেছেন। পুজো হবে জলপাইগুড়ি, দুর্গাপুর, আসানসোল, বিষ্ণুপুরেও। মূলত জেলার এবং প্রান্তিক অঞ্চলের কর্মীদের কথা ভেবেই জেলায় জেলায় পুজোর কথা ভেবেছে দুর্বার। এখানেই শেষ নয়। দুর্বারের এই বছরে ভাবনায় রয়েছে এক সাহসী পদক্ষেপও। কোনও খ্যাতনামীকে মুখ করে প্রচারের আলোয় আসা নয়, বরং নিজেদের পুজোতে নিজেরাই মুখ হচ্ছেন যৌনকর্মীরা। ‘যৌনকর্মীদের অধিকার, দুর্গাপুজোর স্বাধিকার’— অতীতেও এমন জোরালো বার্তা নিয়েই পুজো করেছে সোনাগাছি। চলতি বছরে আরও এক ধাপ এগিয়ে যৌনপেশায় যুক্ত শ্রমিকদের আরও জোরালো বার্তা, ‘আমাদের পুজো, আমরাই মুখ’।