প্রতিবেদন ও চিত্রগ্রহণ: প্রিয়ঙ্কর, সম্পাদনা ও গ্রাফিক: বিজন
কলকাতার উপকণ্ঠে শ্রীরামপুরের এই বনেদি বাড়ি এখন অনেকেরই চেনা। শ্রীরামপুর রাজবাড়ি বলে পরিচিত তিনশো বছরেরও পুরনো এই বাড়িটির একটি অংশে পরিবারের সদস্যেরা থাকলেও, অন্য একটি অংশ শুটিংয়ের জন্য ভাড়া দেওয়া হয়। ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’ নামের জনপ্রিয় চলচ্চিত্রটির কল্যাণে গোস্বামীবাড়ির অন্দরের সঙ্গে কিঞ্চিৎ পরিচয় হয়েছে বাংলার মানুষের। কিন্তু অনেকেরই হয়ত জানা নেই এ বাড়ির তিন শতক পার করা দুর্গাপুজোর গল্প। গোস্বামী পরিবারের পুজোয় এখনও মেনে চলা হয় হরেক সাবেক রীতিনীতি। তিন পুরাণ অনুযায়ী দুর্গা আরাধনা করার রীতি এখনও অক্ষুণ্ণ, যেমন অক্ষুণ্ণ বিসর্জনের দিন মাছ খেয়ে দেবীবরণ করার প্রথা। আগে মেশিনের সাহায্যে গঙ্গাজল আসত বাড়ির ভিতরেই, সেই জলেই নবপত্রিকার স্নান হত। জাঁকজমক কমলেও এখনও রাজবাড়ির ঠাকুরদালানের ইন্দো-সারাসেনিক খিলানে, পঙ্খের কাজে, চকমেলানো বারান্দায় এখনও অতীত গৌরবের জলছবি। আনন্দবাজার অনলাইনের ‘সাবেক পুজোর পুরাতনী গল্প’ সিরিজ়ের শেষ পর্বে শ্রীরামপুরের গোস্বামীবাড়ি।