প্রতিবেদন: সুদীপ্তা, সম্পাদনা: সৈকত
সায়ন কর্মকার। বছর ২৩-এর যুবক। বাড়ি হুগলির চুঁচুড়ায়। পড়াশুনায় বিশেষ আগ্রহ ছিল না, ছোট থেকে সায়নের মন পড়ে থাকত ছবি তোলার কারিকুরিতে। বড় হয়ে ফটোগ্রাফি নিয়েই পড়াশোনা করবেন ভেবেছিলেন। যেমন ভাবা তেমনই কাজ। ভর্তি হলেন রাজারহাটের ডিরোজিও কলেজে। এক বছরের ডিপ্লোমা পাঠক্রম, কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষের টালবাহানায় শেষ হল তিন বছরে। কোর্স শেষে ডিআরডিও দফতরে চাকরির পরীক্ষা দিয়েছিলেন সায়ন। চাকরি তো হলই, তালিকার প্রথম নামটিও সায়নের। সমস্যার শুরু তার পরেই। গোল বাঁধল নথি যাচাইয়ের সময়। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন ডিরোজিও কলেজ। মে মাস থেকে কোনও উপাচার্য নেই বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাই পরীক্ষায় পাশ করেও শংসাপত্র মেলেনি। ডিআরডিও-র তরফ থেকে জানানো হয়, উপাচার্যের সই করা শংসাপত্র জমা না দিলে চাকরি হবে না সায়নের। ইউজিসি-কে জানিয়েও লাভ হয়নি। অতঃপর রাজ্যপালের দ্বারস্থ সায়ন। মেল করেছেন, যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন টুইটের মাধ্যমেও। শেষমেশ সোজা রাজভবনে হাজির হয়েছেন।
সায়নের ভবিষ্যৎ এখন কোন পথে?