শিরোনামে হাথরস। উত্তরপ্রদেশের এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ধর্মগুরুর পায়ের ধুলো নিতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে বহু পুণ্যার্থীর। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১২১। মৃতের তালিকায় রয়েছেন শতাধিক মহিলা, রয়েছে ৭টি শিশুও। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। স্থানীয় সূত্রে খবর, নারায়ণ সাকার ওরফে ‘ভোলে বাবা’ নামে স্বঘোষিত এক ধর্মীয় গুরুর জন্য ‘মানব মঙ্গল মিলন সদ্ভাবনা অনুষ্ঠান কমিটি’র তরফে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত ওই সৎসঙ্গের আয়োজন করা হয়েছিল মঙ্গলবার। অংশ নিয়েছিলেন হাজার হাজার ভক্ত। ভক্তদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন মহিলা। সৎসঙ্গ শেষে হুড়োহুড়ি করে বেরোনোর সময় ঘটে এই বিপত্তি। কেউ কেউ এই দুর্ঘটনার জন্য আয়োজকদের কাঠগড়ায় তুলছেন, প্রশ্ন উঠেছে পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে।
অন্যদিকে হাসপাতালের মর্গে ক্রমে বেড়ে চলেছে লাশের সংখ্যা। হাথরসে ঘটনার পরই মেডিক্যাল কলেজের মর্গে মোতায়েন করা হয়েছিল দুই পুলিশকর্মীকে। তাঁদের মধ্যে কনস্টেবল রবি কুমার চোখের সামনে মৃত্যু, রক্ত, আর্তনাদ দেখে অসুস্থ হয়ে পড়েন। আচমকাই মৃত্যু হয় রবির। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে রবি কুমারের।