আর জি করের ঘটনার পর ৩৫ দিন পার। লাগাতার আন্দোলন চালাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। ৫ দফা দাবি নিয়ে নবান্নে আলোচনা করতে গিয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সেই বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচারের দাবি তোলেন তাঁরা, যা মেনে নেয়নি প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী অপেক্ষা করলেও আলোচনায় রাজি হননি জুনিয়র চিকিৎসকেরা। বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার একদিন পর শনিবার সকালে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্না মঞ্চে হঠাৎই পৌঁছলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ডিজিপি রাজীব কুমার। আন্দোলনকারীদের স্লোগানের মাঝেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন তিনি রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালের রোগী কল্যাণসমিতি ভেঙে দিচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী জানালেন করে তৈরি হবে রোগী কল্যাণ সমিতি, যেখানে জুনিয়র, সিনিয়র চিকিৎসক থেকে শুরু করে থাকবে পুলিশ এবং সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিত্বও। ডাক্তারদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেবে না প্রশাসন বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি তিনি এও বলেন যে তিনিও এই ঘটনার বিচার চান। আন্দোলনকারীদের ৫ দফা দাবি মেনে নেওয়ার ক্ষেত্রে আলোচনার জন্য তিনি সময় চেয়ে নেন।