প্রতিবেদন: রিঙ্কি, সম্পাদনা: জয়
রামেশ্বরম ক্যাফের বিস্ফোরণে এক সুতোয় জুড়ে গেল বেঙ্গালুরু-কলকাতা। ৪২ দিন অধরা থাকার পরে অবশেষে গত শুক্রবার দুই সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গি মুসাফির হুসেন শাজ়িব এবং আবদুল মাঠিন আহমেদকে এ রাজ্য থেকে গ্রেফতার করে এনআইএ। ১২ এপ্রিল সকালে রাজ্য পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার যৌথ অভিযানে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থেকে গ্রেফতার হন দুই অভিযুক্ত। এনআইএ সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, গ্রেফতার হওয়ার আগে কলকাতাতেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন দু’জন। শহরের কোন কোন এলাকায় গিয়েছিলেন অভিযুক্তেরা? কী উদ্দেশ্যে তাঁদের এই গতিবিধি?
১ মার্চ বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণ হয়। আহত হন ১০ জন। এনআইএ সূত্রে খবর, সেই বিস্ফোরণকাণ্ডের পর পরই দুই অভিযুক্ত মুসাফির এবং আবদুল চেন্নাই পালিয়ে যান। বেশ কয়েক দিন চেন্নাইয়ে লুকিয়ে থাকার পর কলকাতায় পৌঁছন ১০ মার্চের পর। এর পর কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন হোটেলে তাঁরা লুকিয়ে ছিলেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এর মধ্যে কলকাতার তিনটি হোটেলের সিসি ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে দু’জনকে।
ইতিমধ্যে কলকাতা থেকে বেঙ্গালুরুতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অভিযুক্তদের। ১৩ এপ্রিল সকালে তাঁদের বেঙ্গালুরুর বিশেষ এনআইএ আদালতে পেশ করা হয়। আদালত দু’জনকে ১০ দিনের এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। প্রশ্ন, বাংলায় কেন আশ্রয় নিলেন দুই অভিযুক্ত? তবে কি এ রাজ্যে তাঁদের কোনও চক্র রয়েছে? কয়েকটি তারিখে তাঁদের গতিবিধি নিয়ে এখনও কোনও তথ্য নেই। সেই দিনগুলিতে মুসাফির ও আবদুল কী করছিলেন? কলকাতা থেকে দীঘা— এই যাত্রা পথে আরও কোনও জায়গায় কি থেকেছিলেন মুসাফির-আবদুল। উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা।