মালদহ ছিল গৌড়বঙ্গের রাজধানী। সে সময়ের ধ্বংসাবশেষ আজও রয়েছে এই জেলায়। ফাইল চিত্র।
উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার মালদহ জেলা। ৩৪৫৬ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে এই জেলা ইতিহাসের সাক্ষী। ভ্রমণপ্রেমী বাঙালিদের পছন্দের তালিকায় পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে থাকতেই পারে মালদহ। শীতের আমেজে সপ্তাহান্তে দু’দিন দিব্যি কাটানো যায় ঐতিহাসিক সৌধ দেখে, নদীর ধারে ঘুরে।
কী দেখবেন?
মালদহ ছিল গৌড়বঙ্গের রাজধানী। গঙ্গা, মহানন্দা, ফুলাহার, কালিন্দ্রী নদী বয়ে যায় এই জেলা দিয়ে। এই অঞ্চল প্রাচীন গৌড় এবং পান্ডুয়ার সীমান্ত ছিল। প্রাচীন ও মধ্য যুগে এই দু’টি শহর বাংলার রাজধানী ছিল। সে সময়ের ধ্বংসাবশেষ আজও রয়েছে এই জেলায়। ফিরোজ মিনার, বারো দুয়ারি, চিকা মসজিদ-সহ একাধিক স্থাপত্যের নিদর্শন ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে রয়েছে। শুধু গৌড় নয়, আদিনা মসজিদের স্থাপত্য ভ্রমণপ্রেমীদের মন কাড়বে। এ ছাড়া গৌড় রাজ্যে শ্রীচৈতন্যের আগমনের কাহিনি ও তার নিদর্শন পর্যটকদের আকর্ষণ করবে। মালদহের হবিবপুরে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে বৌদ্ধমঠের সৌধও দেখা যেতে পারে জগজ্জীবনপুরে। ইতিহাসের স্মৃতি সৌধ ছাড়াও এই জেলায় রয়েছে আদিনা ডিয়ার ফরেস্ট। এই ফরেস্টে হরিণ এবং নীলগাই দেখা যায়। এ ছাড়া শীতের মরসুমে এই ফরেস্টে দেখা যায় সাইবেরিয়ার পাখিও।
মালদহের গৌড়, আদিনা-সহ দর্শনীয় স্থান ঘোরার জন্য যানবহনের সমস্যা নেই। টোটো থেকে অটো, ট্যাক্সি, সবই ভাড়া পাওয়া যায়। ট্যাক্সির ভাড়া পড়ে তেল ও মোবিল ছাড়া ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা প্রতি দিনের হিসাবে।
বহু স্থাপত্যের নিদর্শন ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে রয়েছে মালদহে। ফাইল চিত্র।
কী ভাবে যাবেন?
শিয়ালদহ, কলকাতা ও হাওড়া স্টেশন থেকে উত্তরবঙ্গমুখী যে কোনও ট্রেনে উঠলেই পাঁচ থেকে ছ’ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে যেতে পারেন মালদহ জেলায়। সড়ক পথে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা-সহ একাধিক বেসরকারি বাস পরিষেবাও আছে।
কোথায় থাকবেন?
এই জেলায় ছোট-বড় বহু হোটেল রয়েছে রাত্রিযাপনের জন্য। সরকারি টুরিস্ট লজ যেমন আছে, তেমনই রয়েছে আদিনা ডিয়ার ফরেস্টে বন দফতরের অতিথি আবাস। তা ছাড়াও আছে বেসরকারি বহু হোটেল।