সপরিবার মালদ্বীপে ছুটি কাটাচ্ছেন সোহা আলি খান। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
নীল জলরাশির বুকে, মিহি বালির তট। সেখানেই মেয়ে ইনায়া এবং স্বামী কুণাল খেমুকে নিয়ে ছুটি কাটাচ্ছেন সোহা আলি খান।
অভিনেত্রীর সমাজমাধ্যমের পাতা জুড়ে মলদ্বীপের ছবি। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, কখনও খুদের সঙ্গে সমুদ্রে খেলা করছেন তিনি। কখনও আবার স্বামীর সঙ্গে সাইকেলে ঘুরছেন।
বছর দুয়েক আগেও ছবির মতো সাজানো এই দ্বীপরাষ্ট্র ছিল বি-টাউনের তারকাদের বিশেষ পছন্দের। বিলাসবহুল ‘ওয়াটার ভিলা’য় ছুটি কাটাতে যেতেন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। তবে বছরখানেক আগে আচমকাই ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কে তিক্ততা দেখা দেওয়ায় খানিক ব্রাত্য হয়ে উঠেছিল দ্বীপরাষ্ট্রটি।
তবে ধীরে ধীরে সম্পর্কের উন্নতিতে ফের মলদ্বীপমুখী তারকারা। কিছু দিন আগে সোনাক্ষী সিন্হা স্বামী জ়াহির ইকবালের সঙ্গে গিয়েছিলেন মালদ্বীপে। দিন কয়েক আগেই সেখান থেকে ছবি দিয়েছিলেন করিনা কপূর খানও। এ বার সেখানে গেলেন সোহা।
এই যে তারকারা মাঝেমধ্যেই সেখানে ছুটি কাটাতে যান, ঘুরে আসেন বেশ কয়েকটি দিন, সেখানে থাকার খরচ কেমন? সোহার সমাজমাধ্যমের পোস্ট বলছে, তাঁরা রয়েছেন পাটিনা মলদ্বীপে। এটি একটি বিলাসবহুল প্রাইভেট আইল্যান্ড।
অসংখ্য দ্বীপের সমাহারে তৈরি এই দেশটির দ্বীপগুলি দু’ভাগে বিভক্ত। পাবলিক এবং প্রাইভেট আইল্যান্ড। পাবলিক আইল্যান্ডে এ দেশের স্থানীয় বাসিন্দারা থাকেন। বেশ কয়েকটি দ্বীপে থাকতে পারেন পর্যটকেরাও। তবে তারকারা বেছে নেন বিলাসবহুল প্রাইভেট আইল্যান্ডকেই।
সোহা, কুণাল মেয়ে ইনায়াকে নিয়ে পাটিনা মলদ্বীপ নামে যে প্রাইভেট আইল্যান্ডে থাকছেন, সেখানে রয়েছে বিভিন্ন মানের ঘর। কোনওটি এক কামরার। কোনওটি দুই কামরার। কোনওটি থেকে সূর্যোদয় দেখা যায়। কোনওটি আবার সূর্যাস্ত উপভোগের জন্যই নির্মিত।
সোহা যে দ্বীপে রয়েছেন সেই দ্বীপেরই একটি বিলাসবহুল ভিলা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
তার মধ্যে সবেচেয়ে ব্যয়বহুল ‘দ্য বিচ হাউস’ এবং ‘২ বেডরুম সানসেট বিচ পুল ভিলা’। পাটিনা মলদ্বীপের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে জানা যাচ্ছে, দুই কামরার এই ভিলাটিতে রয়েছে ব্যক্তিগত সুইমিং পুল। রৌদ্রস্নানের জন্য রয়েছে ‘সানলাউঞ্জার’। দু’টি ঘর থেকেই সমুদ্র দেখা যায়। সমুদ্রের দিকের দেওয়ালটি স্বচ্ছ কাচের। দেওয়ালের পাশেই রয়েছে বারান্দা। সেখানে ঝোলানো রয়েছে হ্যামক।
ঠিক এটিতেই সোহা সপরিবার রয়েছেন কি না, জানা নেই। তবে দু’কামরার এই ভিলার এক রাতের খরচ কর ব্যতিরেকে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৫ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। আর বিচ হাউসের এক রাতের ভাড়া ভারতীয় মুদ্রায় কর ছাড়া প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা।
এখানেই স্পা সেন্টার থেকে জলে ভাসমান প্রাতঃরাশের ব্যবস্থাও আছে। দ্বীপের পরিধিও এতটাই বড় যে, ভাল ভাবে ঘুরে দেখতে কয়েক ঘণ্টা সময় লেগে যাবে। দ্বীপেই রয়েছে একাধিক রেস্তরাঁ, ক্যাফে, জিম-সহ রকমারি সুযোগ সুবিধা। রয়েছে জলক্রীড়ার ব্যবস্থাও।
মলদ্বীপ কম খরচে কী ভাবে ঘুরবেন?
তারকাদের মতো বিলাসবহুল ওয়াটার ভিলায় না থেকেও কিন্তু মলদ্বীপের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। সঠিক পরিকল্পনা থাকলে চার থেকে পাঁচ দিনে মাথা পিছু এক থেকে দেড় লক্ষ টাকার মধ্যেই ঘুরে নেওয়া যায় দ্বীপরাষ্ট্রটি।
মলদ্বীপের ‘প্রাইভেট আইল্যান্ড’। ছবি: ফ্রিপিক।
বিমান
ভারত থেকে মলদ্বীপ যেতে বিমান ভাড়া বাবদ মোটা টাকা খরচ হয়। অফ সিজ়নে সেখানে যাওয়ার পরিকল্পনা করলে এবং অন্তত তিন মাস আগে টিকিট কাটলে খরচ কমানো সম্ভব।
পাবলিক আইল্যান্ড
প্রাইভেট আইল্যান্ড খরচ সাপেক্ষ হলেও, পাবলিক আইল্যান্ডে দৈনিক ৪ থেকে ৫ হাজার টাকায় হোটেল পাওয়া যায়। পাবলিক আইল্যান্ডে জলক্রীড়া, স্যান্ড ব্যাঙ্ক ভ্রমণ ইত্যাদিতে খরচ কম হয়।
প্রাইভেট আইল্যান্ড
পাবলিক আইল্যান্ডে থাকলেও বিলাসবহুল প্রাইভেট আইল্যান্ডে দিনভর ঘুরে আসা যায়। সুইমিং পুল ব্যবহার করা যায়। বিভিন্ন ধরনের ‘ডে প্যাকেজ়’ থাকে এর জন্য। আবার সমস্ত প্রাইভেট আইল্যান্ড কিন্তু অস্বাভাবিক খরচ সাপেক্ষ হয় না। একসঙ্গে তিন বা চার দিনের প্যাকেজ বুক করলেও খরচ কম হয়।