কী ভাবে ঘুরবেন হাতিবাড়ি ছবি সৌজন্য: পর্যটন দপ্তর।
হাতিবাড়ির অবস্থান পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং ঝাড়খন্ড রাজ্যের সংযোগস্থলে, নির্মল প্রশান্ত পরিবেশের মাঝে। শাল গাছের ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলেছে সুবর্ণরেখা, তার মধ্যেই মাঝেমাঝেই ভেসে আসা বৃংহণ শরীরে শিহরণ জাগায়। সব মিলিয়ে দিন দুয়েকের ছুটিতে যদি শহরের কোলাহল এড়িয়ে পশু-পাখির ডাক শুনতে চান তবে হাতিবাড়ি হয়ে উঠতে পারে আদর্শ গন্তব্য। তা ছাড়া এখানে রয়েছে একটি হাতি চলাচলের পথ বা ‘এলিফ্যান্ট করিডর’, যা ঝাড়গ্রাম থেকে দুমলা রেঞ্জ পর্যন্ত বিস্তৃত। ফলে ভাগ্য ভাল থাকলে দেখা মিলতে পারে হাতির পালের।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
কী দেখবেন
হাতিবাড়ির জঙ্গল কিংবা সুবর্ণরেখার সৌন্দর্য দেখতে দেখতেই কেটে যেতে পারে দু’টি দিন। কিন্তু যদি আশেপাশে ঘুরে দেখতে চান তবে চলে যেতে পারেন চিল্কিগড়। এখানে জামবনীর রাজা গোপীনাথ সিংহের ৩০০ বছরের প্রাচীন রাজবাড়ি রয়েছে। ভগ্ন দশার এই রাজবাড়ি বহন করছে কালের চিহ্ন। ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে এলে ঘুরে দেখতে পারেন কনকদুর্গা মন্দির। ওড়িশার দিকে গেলে ঘুরে নিতে পারেন দুয়ারসিনি পাহাড়।
কোথায় থাকবেন?
হাতিবাড়িতে সবচেয়ে ভাল থাকার জায়গা বনদপ্তরের বনবাংলো। খাওয়াদাওয়ার বন্দোবস্তও এখানেই। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরের ভাড়া ২৫০০ টাকা।
কী করে যাবেন?
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঝাড়গ্রাম প্রায় ১৮৮ কিলোমিটার দূরে।
ট্রেনে যেতে হলে, হাওড়া থেকে ঝাড়গ্রাম পর্যন্ত এক্সপ্রেস ও লোকাল ট্রেন আছে। ট্রেনে কলকাতা থেকে ঝাড়গ্রামে পৌঁছাতে সময় লাগে কম পক্ষে আড়াই ঘণ্টা।
সড়কপথে যেতে চাইলে, কলকাতা থেকে ৬ নং জাতীয় সড়ক (মুম্বই-কলকাতা মহাসড়ক) ধরে ঝাড়গ্রামে পৌঁছাতে সময় লাগে ঘণ্টা চারেক। ঝাড়গ্রাম শহর থেকে সড়কপথে গোপীবল্লভপুর ৪২ কিলোমিটার। গোপীবল্লভপুর থেকে সড়কপথে ২২ কিমি পথ এগোলেই হাতিবাড়ি । তবে রাস্তা বেশ ভাল। তাই সড়কপথে গেলেও বিশেষ অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।