বামিয়ান উপত্যকায় বৌদ্ধমূর্তির ধ্বংসাবশেষ। ছবি: সংগৃহীত
ঘুরতে বড়ই ভালবাসেন? দেশে নয় এ বার বিদেশে পাড়ি দেওয়ার সাধ হয়েছে? বিশ্বে এমন বহু জায়গা রয়েছে যেখানে যুদ্ধ, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অপরাধের কারণে সাধারণত পর্যটকেরা খুব বেশি ভিড় করেন না। এমন বেশ কিছু শহরও আছে, যেগুলি বিপজ্জনক হলেও তার সৌন্দর্যে পর্যটকেরা মুগ্ধ হবেন সে বিষয় কোনও সন্দেহ নেই।
বামিয়ান উপত্যকা:
আফগানিস্তানের একেবারে মধ্যভাগে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে গড়ে প্রায় ২৪০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই উপত্যকায় মূলত হাজারা উপজাতির বাস। বর্তমানে এই উপত্যকার অধিবাসীদের অধিকাংশই ইসলাম অনুরাগী হলেও, এক সময় এই অঞ্চলে বৌদ্ধধর্মের প্রবল প্রভাব ছিল বেশি। এই উপত্যকার পাহাড়ের গায়ে অসংখ্য কৃত্রিম গুহা খনন করে বৌদ্ধ সন্ন্যাসী ও ভিক্ষুরা বাস করতেন। এই অঞ্চলের দুটি বুদ্ধমূর্তি ছিল যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় বুদ্ধমূর্তিগুলির মধ্যে অন্যতম। সেই স্থানের সৌন্দর্য ছিল সত্যিই নজরকাড়া। তালিবান নেতা মোল্লা মহম্মদ ওমরের নির্দেশে ২০০১ সালের মূর্তিদুটিকে পাহাড়ের গায়ে ডিনামাইট বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ধ্বংস করা হয়। জায়গাটিতে এখনও সেই সুন্দর কাজের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে।
লাস গিল, সোমালিয়া
রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে আফ্রিকার এই দেশটি এখনও ভ্রমণকারীদের জন্য নিরাপদ স্থান হিসাবে বিবেচিত হয় না। এই অঞ্চলের স্ব-ঘোষিত স্বাধীনতা কোনও দেশ বা আন্তর্জাতিক সংস্থা দ্বারা স্বীকৃত নয়। এই অঞ্চলে অসংখ্য গুহা শিল্প রয়েছে যা সমগ্র আফ্রিকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রক আর্ট হিসেবে বিবেচিত হয়। এই শিল্পের সত্যিই কোনও তুলনা হয় না।
লাস গিল, সোমালিয়া। ছবি: সংগৃহীত
সান পেদ্রো সুলা, হন্ডুরাস
অস্ত্রপাচার এই শহরের একটি বড় সমস্যা। শহরজুড়েই চলে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের লেনদেন। পর্যটকরা প্রয়শই শহরটিতে শুধু ছিনতাই ও চুরি মতো সুযোগসন্ধানী অপরাধের সম্মুখীন হয়। বিশ্বে সর্বোচ্চ খুনের মামলা দায়ের করা হয় এই শহরে। মায়া সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ এবং সোনালি সৈকত এখানে উল্লেখযোগ্য আকর্ষণীয় স্থান হতে পারে। তবে এই শহরে গুরুতর সতর্কতা অবলম্বন করে চলতে হবে পর্যটকদের।
সোকোত্রা, ইয়েমেন
আরব সাগরের মাঝে অবস্থিত সুকুত্রা অঞ্চলের ভৌগোলিক পরিবেশ এবং গাছপালার অদ্ভুত রূপের কারণে এই দ্বীপকে ভিনগ্রহবাসীদের দ্বীপ বা ‘এলিয়েন দ্বীপ’ বলা হয়ে থাকে। চারটি দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত এই দ্বীপপুঞ্জের মালিকানা ইয়েমেনের। ইয়েমেন ২০১৩ সালে এটিকে একটি প্রদেশ হিসেবে ঘোষণা করে। যুদ্ধ এবং রাজতৈনিক অস্থিরতার কারণে ২০১৫ সাল থেকে এই অঞ্চলে পর্যটকদের আনাগোনা কম।