Midnapur

Short Trip: ভাঙেননি কালাপাহাড়, ভ্রমণ করেন নেতাজি, কী ভাবে যাবেন বর্গভীমা মন্দির

এখানে প্রতিদিন ভোগ হিসেবে শোল মাছের টক দেওয়া হয়। আগে থেকে বলা থাকলে সেই ভোগ খেয়ে দেখতে পারেন ভ্রমণ পিপাসুরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২১:৪৮
Share:

বর্গভীমা মন্দির ভ্রমণের টুকিটাকি। ছবি: সংগৃহীত

তমলুকের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি তীর্থস্থান বর্গভীমা মন্দির। সতীর বাঁ পায়ের গোড়ালি এখানে পড়েছিল বলে হিন্দুদের বিশ্বাস। অন্নদামঙ্গল কাব্যেও উল্লেখ রয়েছে এই মন্দিরের। কবে এই মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয় তা নিশ্চিত ভাবে না বলা গেলেও কেউ কেউ বলেন এগারোশো বছরেরও আগে ময়ূর বংশের রাজারা এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। কাজেই ধর্মীয় বিশ্বাস যাই থাকুক, এই মন্দিরের ঐতিহাসিক গুরুত্ব অসীম। কথিত আছে কালাপাহাড় একাধিক মন্দির ধ্বংস করলেও এই মন্দিরের সামনে এসে মন্দির ধ্বংস না করেই ফিরে যান। ১৯৩৮ সালের ১১ই এপ্রিল সুভাষচন্দ্র বসু এই মন্দির পরিদর্শন করেন। বর্তমানে এটি একটি হেরিটেজ স্থল। সারা বছর ভ্রমণ করা গেলেও নববর্ষ, দুর্গাপূজা ও কালী পুজোর সময় এখানে জন সমাগম বেশি হয়। তা ছাড়া বছরে দু’বার মেলা দেখতেও দূর দুরান্ত থেকে বহু মানুষ এখানে আসেন। বর্গভীমা মন্দিরের অন্যতম আকর্ষণ হল ভোগ। এখানে প্রতিদিন ভোগ হিসেবে শোল মাছের টক দেওয়া হয়। আগে থেকে বলা থাকলে সেই ভোগ খেয়ে দেখতে পারেন ভ্রমণ পিপাসুরা।

Advertisement

বর্গভীমা মন্দির। ছবি: সংগৃহীত

কী দেখবেন—
মন্দির ও প্রতিমা দর্শন করতেই প্রতি বছর বহু মানুষ এখানে আসেন। তবে সময় নিয়ে এলে দেখতে পারেন তমলুক প্রাসাদ, গেঁওখালি, রক্ষিত বাটির মতো দৃষ্টব্য স্থান। দেখতে পাবেন রূপনারায়ণের সৌন্দর্যও।

কী করে যাবেন—
কলকাতা থেকে তমলুকের দূরত্ব ৮৭ কিলোমিটার। সড়ক পথে আসতে হলে ধরতে হবে ৬ নং জাতীয় সড়ক। ধর্মতলা থেকে বাসেও আসতে পারেন। বর্তমানে রেল যোগাযোগও বেশ ভাল হয়েছে।

Advertisement

কোথায় থাকবেন—
মন্দিরের কাছাকাছি থাকার জায়গার কিছুটা সমস্যা রয়েছে। চাইলে একদিনের মধ্যেই ঘুরে আসতে পারেন। তবে কাছাকাছি স্থানগুলি দেখতে চাইলে মেদিনীপুর শহরে থাকতে পারেন। এখানে পর্যটন দপ্তরের নিজস্ব আবাস রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement