বেড়াতে গিয়ে নিরামিষ খাবার পেতে অসুবিধা হয়? যাওয়ার আগে কোন কোন বিষয় মাথায় রাখবেন? ছবি: সংগৃহীত।
ভারতে যেমন খাদ্য এবং সংস্কৃতিতে বৈচিত্র রয়েছে, তেমনই রয়েছে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও। সেই সমস্ত দেশে বেড়াতে গেলে, তাঁদের সংস্কৃতিকে জানতে হলে, তাঁদের খাবারও খাওয়া দরকার। কারণ, যে কোন জায়গার খাবারের সঙ্গেই জড়িয়ে থাকে স্থানীয় রীতিনীতি, বিশ্বাস-সহ অনেক কিছুই। কিন্তু বহু দেশেই খাবারের তালিকায় আমিষের প্রাধান্য। নিরামিষ খাবার যে পাওয়া যায় না তা নয়। কিন্তু সেই খাবার খুঁজে পাওয়া সহজ হয় না বিদেশি পর্যটকদের পক্ষে। তাতেই যত সমস্যা।
চিন, জাপান, তাইল্যান্ড, ভিয়েতনামের মতো দেশে ঘুরতে যাওয়া বহু ভারতীয় এই সমস্যার সম্মুখীন হন। আমিষ খেলে কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু কেউ নিরামিষাশী কিংবা ভিগান হলে খাবার খুঁজতে গিয়ে দিন কাবার হয়ে যায়। একাধিক ভ্রমণ সংক্রান্ত ভ্লগে বিভিন্ন সময় এই ধরনের সমস্যার কথা তুলেও ধরেছেন অনেক ভারতীয়।
কিন্তু বিদেশে গিয়ে নিরামিষ খাবার পাওয়া সত্যিই কি এতটা সমস্যার? নানা দেশের খাবারের নানা ধরন। কোনও কোনও দেশে নিরামিষ খাবারে ও স্সে আমিষের ছোঁয়া থাকে। কোথাও আবার ডিমকে আমিষের আওতায় ফেলা হয় না, বলছেন নিখিল চাওলা নামের জনৈক ফুড ভ্লগার। তা হলে বিদেশে গিয়ে ভাল নিরামিষ খাবার কী ভাবে পাবেন পর্যটকেরা?
১. কোনও দেশে যাওয়ার আগে তাদের বিশেষ খাবার আমিষ, নিরামিষ সম্পর্কে জানতে হবে। ইন্টারনেট ঘেঁটে, ভ্লগ দেখে এ সম্পর্কে ধারণা করা যেতে পারে। বিশেষ নিরামিষ পদের নামের তালিকা এবং সঠিক উচ্চারণ জেনে নিতে হবে আগেই। যেমন, ইটালিতে গেলে নিরামিষ খাবার হিসাবে খেতে পারেন, মার্গারিটা পিৎজ়া, পাস্তা প্রাইমাভেরা, তাইল্যান্ডে প্যাড তাই, গ্রিন কারি টোফু। তবে খাবার অর্ডার করার সময় বুঝিয়ে দিতে হবে, কোনগুলি একেবারেই দেওয়া যাবে না।
২. স্থানীয় ভাষা তো শিখে যাওয়া সম্ভব নয়ম তবে জরুরি বাক্যগুলি শিখে যাওয়া যেতে পারে। যেমন, ‘আমি নিরামিষ খাই’। ‘মাছ, মাংস, ডিম খাই না’।
কোন খাবারগুলি বাদ দিতে হবে, স্থানীয় ভাষায় সেগুলির নাম জেনে যেতে হবে। অনেক দেশেই লোকজন স্থানীয় ভাষা ছাড়া অন্য ভাষা বোঝেন না । এমনকি, ইংরেজিও নয়।
৩. প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে নিরামিষ খাবারের ঠিকানা খোঁজা অনেক সহজ। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম খাবারের অ্যাপ আছে। যে কোনও দেশে যাওয়ার আগে সেই দেশের খাবার এবং রেস্তরাঁ সংক্রান্ত খোঁজ মিলবে, সেই অ্যাপগুলি মোবাইলে ইনস্টল করে যান।
৪. হাতের কাছে অবশ্যই অল্প কিছু নিরামিষ শুকনো খাবার রাখুন। এমনটা হতেই পারে, যে অঞ্চলে রয়েছেন সেখানে আশপাশে নিরামিষ খাবারের দোকান বা রেস্তরাঁ নেই। আবার এমনও হতে পারে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের দরুন বা রাত হয়ে যাওয়ায় কোনও নিরামিষ হোটেল খোলা নেই। তখন যাতে না খেয়ে থাকতে হয়, সে জন্য আগাম ব্যবস্থা করে রাখা ভাল।