তুমি, আমি আর রাতের কলকাতা। ছবি: শাটারস্টক।
শহর কলকাতা মানেই রাস্তায় প্রচণ্ড ব্যস্ততা, চারদিকে কোলাহল, সকলেই ছুটে চলেছেন আপন কাজে। ভোর ৪টে থেকে হাওড়ার ফুলবাজারে শুরু হয়ে যায় ব্যস্ততা। তার পরেই শহরের বিভিন্ন পাইকেরি বাজারগুলিতে ভিড় জমতে শুরু করে। ভোর ৫টা থেকেই টেরিটি বাজারে চাইনিজ় ব্রেকফাস্ট খাবেন বলে ভোজনরসিকsরা ভিড় জমাতে শুরু করেন। সুতরাং খাওয়াদাওয়া নিয়েও সকাল থেকেই ব্যস্ততা তুঙ্গে। তবে রাতের শহরের ছবিটা কিন্তু একেবারেই ভিন্ন। রাতের কলকাতার আমেজ নিতে অফিসের পর এক দিন বেরিয়ে পড়তেই পারেন। সঙ্গীকে নিয়ে বা বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে কোথায় কোথায় যাবেন, রইল হদিস।
পার্ক স্ট্রিট: রাতের কলকাতার রূপ দেখতে হলে এক বার কিন্তু পার্ক স্ট্রিট যেতেই হবে। আপনি যদি পার্টি করতে পছন্দ করেন, তা হলে পার্ক স্ট্রিটের একাধিক রেস্তরাঁ, নাইটক্লাব, পানশালায় ঢুঁ মারতেই পারেন। সারা রাত খাওয়াদাওয়া, হইহট্টগোল— সব মিলিয়ে রাতটা ভালই জমবে।
গঙ্গার উপর ক্রুজ় ভ্রমণ: রাতের কলকাতার এক অন্য রূপ চাক্ষুষ করতে চাইলে রাতের গঙ্গাবক্ষে ক্রুজ়ে ভ্রমণ করতে পারেন। খুব বেশি রাত না হলে সঙ্গী আর নিজের জন্য নৈশভোজের একটি প্যাকেজ বুক করতেই পারেন। শহরের ভিড় থেকে দূরে একান্তে সঙ্গীর সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা, সামনে হাওড়া ব্রিজের রোশনাই, লাইভ মিউজ়িক আর খাওয়াদাওয়া— এক অন্য রকম সন্ধে উপভোগ করতে চাইলে তিন ঘণ্টা সময় খরচ করতেই পারেন।
প্রিন্সেপ ঘাট: রাতের কলকাতার মায়াবী রূপ দেখতে হলে এক বার রাতের বেলা প্রিন্সেপ ঘাট থেকে ঘুরে আসুন। সন্ধের পর সেই ঘাটের আমেজ একেবারে ভিন্ন। রাত যত বাড়তে থাকে প্রিন্সেপ ঘাট ততই শান্ত হতে শুরু করে। তবে থেকে যায় আলোর রোশনাই। সঙ্গীকে নিয়ে নৌকাভ্রমণ করতে চাইলে আপনাকে সন্ধে ৭টার আগেই যেতে হবে। খোলা আকাশ, চারদিকে আলোর রোশনাই সন্ধের নৌকাভ্রমণের অভিজ্ঞতা একেবারেই অন্য রকম।
চায়না টাউন: চিনা খাবার পছন্দ করলে রাতে চিনাপাড়া চায়না টাউনেও ঢুঁ মারতে পারেন। সেখানে বেশ কয়েকটি রেস্তরাঁ গভীর রাত পর্যন্ত খোলা থাকে। মদ্যপান করতে চাইলে রেস্তরাঁগুলিতে সেই ব্যবস্থাও পাবেন। তাই রাতে ভাল চাইনিজ় খাবার খেতে ইচ্ছে হলে চায়না টাউনকে রাখতে পারেন পছন্দের তালিকায়।
রাতে শহরের ফাঁকা রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়তেই পারেন। ছবি:শাটারস্টক।
গাড়ি নিয়ে ভ্রমণ: রাতে শহরের ফাঁকা রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়তেই পারেন। গন্তব্য হতে পারে নিউ টাউন কিংবা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। রোম্যান্টিক গান, সঙ্গীর হাতে হাত আর লং ড্রাইভ সঙ্গে শহরের নিস্তব্ধতা উপভোগ করতে চাইলে মাঝরাতে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়তেই পারেন। শহর কলকাতায় রাতের বেলাতেও একাধিক ধাবা ও রেস্তরাঁ খোলা থাকে। গাড়ি চালাতে চালাতে খিদে পেয়ে গেলে জয় হিন্দ ধাবা, বলবন্ত সিংহ ধাবা, আজাদ হিন্দ ধাবায় রাতের খাওয়াটা সেরে ফেলতেই পারেন। চা থেকে আলুর পরোটা, তন্দুরি থেকে কুলফি সবই চেখে দেখতে পারেন মাঝরাতেও।