সাইনা নেহওয়ালের সঙ্গে খেলতে চান বাংলার ঋতুপর্ণা দাস। বলে দিলেন, “দেশে এখন আমার সিনিয়র র্যাঙ্কিং তিন। আশা করি, এ বছর সাইনার সঙ্গে খেলতে পারব আইবিএলে। হায়দরাবাদ হটশটসের জার্সিতে।”
গোপীচন্দ্র অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুবাদে প্রায় এক বছর হল হায়দরাবাদ রয়েছেন হলদিয়ার মেয়ে ঋতুপর্ণা। দেশে থাকলে সেখানে নিয়মিত যাতায়াত থাকে সাইনারও। ঋতুপর্ণা বলছিলেন, “গোপীস্যারের অ্যাকাডেমিতে সাইনা নিয়মিত অনুশীলন করতে আসে। আমাদের অনুশীলনও দেখে। কোর্টের পাশে সাইনা দাঁড়িয়ে থাকলে আমরা চার্জড হয়ে যাই।” সঙ্গে যোগ করেন, “আমাদের হায়দরাবাদের ক্যাম্পে তিন জন বিশ্বমানের ইন্দোনেশিয়ান কোচ আছেন। তাঁরা নিয়মিত আমাদের ভুলত্রুটি শুধরে দেন। গোপীস্যারও ডায়েট থেকে শুরু করে ফিটনেস রেজিম সব ব্যাপারেই নজর রাখেন। স্যার খুব খুঁতখুঁতে। বারবার মনে করিয়ে দেন, ব্যাডমিন্টনে প্লেয়ারকে সুপার ফিট থাকতেই হবে। তাই অনুশীলনে কামাই দেওয়া চলবে না।” মজা করে বলছিলেন, “তবে মাঝে মধ্যে লুকিয়ে-চুরিয়ে চিলি চিকেন, ফ্রায়েড রাইস খাই।”
অনেক দিন পর হলদিয়ায় বাড়িতে এসেছেন ঋতুপর্ণা। তবে ভুলে যাননি তাঁর প্রথম কোচ সুরজিৎ সেনগুপ্তকে। জীবনের প্রথম কোচের সঙ্গে দেখা করে আশীর্বাদও নিয়ে এসেছেন কয়েক দিন আগে। হলদিয়ার রিফাইনারি এমপ্লয়িজ ক্লাবের কচিকাঁচাদের অনুশীলনেও সময় কাটিয়ে এসেছেন ঋতুপর্ণা। প্রথমে টেবল টেনিস দিয়ে শেুরু করেছিলেন। পরে চলে আসেন ব্যাডমিন্টনে। জাতীয় সিনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপে বড় অঘটন ঘটিয়ে ফাইনালে উঠে শেষ পর্যন্ত বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জজয়ী পি ভি সিন্ধুর কাছে হেরে যান তিনি। ঋতুপর্ণা বলছিলেন, “সে দিন নিজে জিতেও আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে গিয়েছিল সিন্ধু। বলেছিল, যে কোনও দিন কিন্তু তুমি আমাকে হারাবে।” এক সময়ে গোপীচন্দের অ্যাকাডেমিতেই সিন্ধুর রুমমেট ছিলেন ঋতুপর্ণা। ভারতীয় ব্যাডমিন্টনে সিন্ধুর চমকপ্রদ উত্থান তাতাচ্ছে তাঁকে, স্বীকার করে নিয়েছেন হলদিয়ার গর্ব। বলছিলেন, “সাইনা, সিন্ধু এঁদের সাফল্য আমাকে আরও ভাল খেলার জন্য প্রেরণা দেয়।” ব্যাডমিন্টনের পাশাপাশি পড়াশোনাও চালাচ্ছেন ঋতুপর্ণা। হায়দরাবাদে থাকার জন্য প্রাইভেটেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছেন বাংলার ব্যাডমিন্টন তারকা।