কলকাতা লিগ দরজায় কড়া নাড়া শুরু করতেই পারদ চড়ছে কোলাসোর ইস্টবেঙ্গল বনাম সুভাষ ভৌমিকের মোহনবাগানের। যা শুরু হয়ে গেল মঙ্গলবার থেকেই। এই আবহে হঠাৎই বাগান তাঁবুতে হাজির সুব্রত ভট্টাচার্য। যিনি প্রায় প্রতিদিনই তোপ দাগছেন কর্তাদের বিরুদ্ধে। এ দিন অবশ্য ‘বন্ধু’-কে দেখতে পেয়েই নিজের ঘরে ডেকে নিলেন সুভাষ।
সকালে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে অনুশীলন ম্যাচ খেলার জন্য কোলাসো ঘুরিয়ে যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তা কর্তাদের কোর্টে ঠেলে দিয়ে কলকাতা লিগ নিয়েই ‘ফোকাসড’ সবুজ-মেরুন টিডি। তা এতটাই যে লিগের প্রথম প্রতিপক্ষ টালিগঞ্জ অগ্রগামীর বিরুদ্ধে ম্যাচের পাঁচ দিন আগে থেকেই রঘু নন্দীর দলকে মাপতে শুরু করে দিলেন সুভাষ। টালিগঞ্জকে দেখতে বিকেলেই যুবভারতীতে ‘গুপ্তচর’ পাঠালেন!
কে এই সুভাষের ‘গুপ্তচর’? তিনি বাগান কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী। যিনি এ দিন যুবভারতীতে ম্যাচ কমিশনারের ঘরে বসে দেখে এলেন বিপক্ষের কোকো সাকিবো, ড্যানিয়েল বিদেমিদের। বাগান কোচ শঙ্করলালকে রাতে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অবশ্য এ কথা অস্বীকার করে কড়া সুরেই বললেন, “আমি স্ত্রীকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলাম। কে বলল যুবভারতীতে গিয়েছি? এ ভাবে অযথা বিরক্ত করবেন না।” কিন্তু ঘটনা হচ্ছে এ দিন শঙ্করলালকে যুবভারতীর ম্যাচ কমিশনারের ঘরে ঢুকে নব্বই মিনিট খেলা দেখে নোট নিতে দেখেছেন স্টেডিয়ামে উপস্থিত সবাই। ম্যাচে সাই (পূর্বাঞ্চল)-এর কাছে টালিগঞ্জ হারলেও এই ‘গুপ্তচর’ পাঠানো প্রসঙ্গে ময়দানে অভিমত এ রকম: ১) ১৫ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট পাওয়া টালিগঞ্জ বাজেট এবং ফুটবলারদের ধারে-ভারে দুই প্রধানের পরেই। ২) তিন প্রধানের বাইরে বাকি দলগুলোর মধ্যে তারা লিগের শীর্ষে। ৩) গোয়ায় দীর্ঘ দিন থাকার সুবাদে ভাস্কো এবং ডেম্পোর জার্সি গায়ে আই লিগে খেলা টালিগঞ্জের কোকো কতটা ভয়ঙ্কর তা জানেন বাগান টিডি। সঙ্গে আবার ড্যানিয়েল বিদেমির মতো কলকাতা ফুটবলকে চেনা বিদেশি। ৪) ভিসা সমস্যায় আদিশা ফাতাই এখনও না আসায় (কর্তাদের দাবি দিন কয়েকের মধ্যে আসবেন) টালিগঞ্জের এই জোড়া ফলার বিরুদ্ধে বাগানকে নামতে হবে সতীশ-কিংশুক-ধনচন্দ্র-সৌভিকদের স্বদেশি ‘ব্যাক ফোর’ নিয়েই। তাই কোকোদের প্রতিষেধক খুঁজতে শঙ্করলালকে পাঠানো।
চার বছর ট্রফিহীন বাগানে নিজের মনের মতো দল গড়েছেন সুভাষ। কিছুটা চ্যালেঞ্জ নিয়েই। তাই প্রস্তুতিতে কোনও ঢিলেমি নেই তিন বারের আই লিগ জয়ী কোচের।