শেষ চারে সিমোনা হালেপ। রুশ প্রতিদ্বন্দ্বী কুজনেৎসোভাকে হারিয়ে দিলেন রোমানিয়ার সিমোনা। বুধবার রোলাঁ গারোয়। ছবি: রয়টার্স।
মারিয়া শারাপোভা ঠিক টি-ব্যাগের মতো। একবার ফুটন্ত জলে ফেলে দেখুন। বুঝবেন ও ঠিক কতটা শক্তিশালী!
টুইটারের এই মন্তব্যের সামনে প্রথমটায় থতমত খেয়ে গিয়েছিলেন রুশ টেনিস সুন্দরী। স্পেনের তরুণ তুর্কি গারবাইন মুগুরুজার কড়া চ্যালেঞ্জ সামলে সেমিফাইনালে ওঠার পর মন্তব্যটা সমালোচনা না প্রশংসা, শারাপোভা সেটাই বুঝতে পারছিলেন না। এমনকী যখন শোনেন টুইটকারীর নাম জুডি মারে, তখনও বিভ্রান্ত। বলেন, “কার কথা বলছেন জানি না।” সাংবাদিকরা যখন বলেন, জুডি মানে উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন অ্যান্ডি মারের মা, তখন হাসি ফোটে। তার পরেও চান টুইটের ব্যাখ্যা। বলেন, ‘‘আমি খুব চা খাই। কিন্তু এই মানেটা বুঝছি না।” মানে বোঝানোর পরে অবশ্য স্বস্তিতে মাশা। বলেন, “বাব্বা! সত্যিই দারুণ কল্পনাশক্তি। আর দেখুন, প্রশংসার জন্য চায়ের মতো আদর্শ ব্রিটিশ উপমা বেছে নিয়েছেন!”
এই নিয়ে রোলাঁ গারোয় টানা চতুর্থ সেমিফাইনাল খেলবেন শারাপোভা। ২০১২ ট্রফি জেতার পর গত বছর ফাইনালে হেরেছিলেন সেরেনা উইলিয়ামসের কাছে। এ বার ফাইনালে পথে তাঁর কাঁটা কানাডার ইউজিন বোচার্ড। প্রথম কানাডিয়ান মেয়ে হিসাবে রোলাঁ গারোর শেষ চারে পৌঁছে ইতিহাস গড়েছেন যিনি।
আজ বৃষ্টিতে সকালে খেলা শুরুই করা যায়নি। তিন ঘণ্টা দেরিতে যখন কোর্টের কভার সরানো হল, তখনও আকাশ মেঘে ঢাকা। তার মধ্যেই ফিলিপ শাতিয়ের ও সুজান লেংগ্লেন কোর্টে আরম্ভ হয় মেয়েদের শেষ দুই কোয়ার্টার ফাইনাল। এবং দু’টোই একই রকমের একপেশে হল।
ফিলিপ শাতিয়েরে দশম বাছাই ইতালির সারা ইরানিকে ৬-২, ৬-২ হারাতে তেমন সমস্যায় পড়লেন না ২৮তম বাছাই জার্মান আন্দ্রিয়া পেটকোভিচ। দেড় বছর ধরে পিঠ, গোড়ালি আর হাঁটুর চোটে ভুগতে ভুগতে ক্লান্ত হয়ে গত বছর যিনি টেনিস থেকে অবসর প্রায় নিয়েই ফেলছিলেন! তবে হতাশার আন্ধকার পেরিয়ে এ দিন জীবনের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম সেমিফাইনালে উঠলেন সাতাশ বছরের মেয়ে। শেষ চারে যাঁর সামনে রোমানিয়ার সিমোন হালেপ। সুজান লেংগ্লেন কোর্টে তেইশ বছরের চতুর্থ বাছাই ২০০৯-এর চ্যাম্পিয়ন কুজনেৎসোভাকে হারান ৬-২ ৬-২।
পুরুষ সিঙ্গলস কোয়ার্টার ফাইনালে গেল মঁফিসকে ৬-৪, ৬-১, ৪-৬, ১-৬, ৬-০ হারালেন অ্যান্ডি মারে। ডেভিড ফেরারের বিরুদ্ধে ৪-৬, ৬-৪, ৬-০, ৬-১ জিতে শেষ চারে উঠলেন রাফায়েল নাদালও।