ইডেনে আজ লক্ষ্মীলাভের স্বপ্ন
তিনে তিন। কল্যাণীর সবুজ উইকেট বা সল্টলেকের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় মাঠের অপেক্ষাকৃত কম বিপজ্জনক বাইশ গজ কোথাও বাংলাকে একদিনের ম্যাচে হারাতে পারেনি পূর্বাঞ্চলের কোনও দল। শনিবার চারে চার করার জন্য বিজয় হাজারে ট্রফির আঞ্চলিক পর্বের শেষ ম্যাচকে প্রথম ম্যাচের মতোই গুরুত্ব দিচ্ছেন বাংলার ক্যাপ্টেন ও কোচ। লক্ষ্মীরতন শুক্ল পরিষ্কারই জানিয়ে দিলেন, “ধরে নিচ্ছি, কালকের ম্যাচটাই আমাদের প্রথম ম্যাচ। সে ভাবেই খেলব।”
ভারতীয় দলের ‘স্ট্যান্ড ইন’ ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি ইদানীং যে ভাবে সতীর্থদের মধ্যে নির্দয় হয়ে ওঠার মানসিকতা তৈরির চেষ্টা করছেন। বলছেন, “কোনও ম্যাচেই আমরা শত্রুকে ছাড়ব না, সে সিরিজের অবস্থা যেমনই থাক না কেন।” বাংলার ড্রেসিংরুমেও এখন যেন সেই হাওয়া।
শনিবার বিপক্ষ অসম। যাদের সামনে আবার বাংলাকে হারিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে নক আউটে পৌঁছনোর হাতছানি। কিন্তু ধীরজ যাদবদের সামনে কোনও মতেই মাথা নোয়াতে রাজি নয় বাংলা। মূলপর্বে উঠে পড়া সত্ত্বেও আপসের প্রশ্নই নেই বলে জানিয়ে দিলেন কোচ অশোক মলহোত্রও। বলে দিলেন, “কালকের ম্যাচ হাল্কা ভাবে নেওয়ার প্রশ্নই নেই। আগের তিন ম্যাচে যে স্পিরিট নিয়ে খেলেছে ছেলেরা, কালও সেই স্পিরিট নিয়েই খেলবে।”
অধিনায়ক লক্ষ্মীকে নক আউট পর্যায় নিয়ে জিজ্ঞাসা করায় বললেন, “আমি এখন কালকের ম্যাচ ছাড়া কিছু ভাবছিই না। তাই এখনই নক-আউট নিয়ে কিছু বলতে পারব না।” হিসাব করে দেখা যাচ্ছে, সব কিছু ঠিকঠাক চললে বিজয় হাজারের কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাকে রেলওয়েজের মুখোমুখি হতে হবে। যে দলে বাংলা ছেড়ে যাওয়া তিন ক্রিকেটার অরিন্দম ঘোষ, অনুষ্টুপ মজুমদার ও অর্ণব নন্দী এবং যারা আঞ্চলিক পর্বের সব ম্যাচ জিতে ও শেষ ম্যাচে রাজস্থানকে ৩৫ রানে অল আউট করে নক আউটে উঠেছে।
তাই মুখে না বললেও রেলওয়েজ সহজ হবে না ধরে নিয়ে শনিবারের ম্যাচে তার আগাম ভরপুর প্রস্তুতি সেরে নিতে চাইছেন বাংলার ক্রিকেটাররা। কোচ মলহোত্র বলছেন, “জেতার অভ্যাসটা বজায় রাখতে হবে ছেলেদের। নক আউটে একটা ম্যাচ হারলেই তো বিদায়। সে জন্যই এটা দরকার।”
যে ইডেনে এক দিন আগেই ধুন্ধুমার কান্ড ঘটালেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা, সেই ইডেনে শনিবার বাংলার ব্যাটসম্যানরা কী করেন সেটাই দেখার। বাংলা দলে তেমন কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম। বড়জোর শুভজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জায়গায় বাঁ-হাতি স্পিনার ইরেশ সাক্সেনা খেলতে পারেন বলে শুক্রবার রাতে শোনা গেল।