ইংল্যান্ডের ডিক্লেয়ারেশনের পর মহেন্দ্র সিংহ ধোনি।
স্কোরবোর্ড ভুলে যাও: ব্যাট করতে নেমে যদি বারবার পাঁচশো সত্তরের কথা ভাবতে থাকে ধোনিরা, তা হলে বিপদ আছে। ভুলে যেতে হবে টার্গেট কত। বরং ভাবতে হবে এটা রোজ বোলের উইকেট ব্যাটিং-স্বর্গ। এর চেয়ে ভাল ব্যাটিং উইকেট ইংল্যান্ডে আর পাবে না ভারতীয় টিম।
উইকেট পড়ে গেলে: ধরে নেওয়া যাক, মঙ্গলবার লাঞ্চের সময় ভারতের স্কোরবোর্ড দেখাচ্ছে ২০০-৪। এ দিন শিখর ধবন চলে গেল। আশঙ্কাটা তাই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ওই অবস্থায় পড়লে কিন্তু টার্গেট হবে তিনশো সত্তর। কোনও ভাবে আর পাঁচশো সত্তর নয়। ফলো অন এক বার বাঁচিয়ে ফেলা মানে, ইংল্যান্ডের পক্ষে ম্যাচ জেতাটা কঠিন। কারণ সময় কম। যে ভাবে রান হচ্ছে দেখছি, রান রেট তিনের আশেপাশে থাকছে। অর্থাৎ, তিনশো সত্তর তুলতে তুলতে চতুর্থ দিন লাঞ্চ পর্যন্ত চলে যাওয়া উচিত। ইংল্যান্ডের পক্ষে তখন মাত্র দেড় দিনে নিজেরা ব্যাট করে, ভারতকে আবার শেষ করে জেতা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।
রিভার্স সুইংটা খেয়াল রেখো: পিচের যা অবস্থা দেখছি মনে হচ্ছে, মঙ্গলবার চা-বিরতির পর থেকে বল আর অতটা বাউন্স করবে না। আর বল পুরনো হয়ে গেলে রিভার্সও করতে থাকবে। জিমি অ্যান্ডারসন, স্টুয়ার্ট ব্রডরা চেষ্টা করবে যতটা সম্ভব উইকেট টু উইকেট রেখে রিভার্স করিয়ে যেতে। কিন্তু তবু বলব, সেটা সামলানো কঠিন হওয়া উচিত নয়। কারণ এই উইকেটে আনপ্লেয়েবল ডেলিভারি হওয়ার সম্ভাবনা কম। বরং পুরোটাই দাঁড়াবে দুই ক্যাপ্টেনের মস্তিষ্কের ম্যাচ। ইংরেজ পেসাররা দু’একটা বলে চমকে দেবে। ভারতীয়দের দেখতে হবে তাতে যেন উইকেট না যায়।
গাজা বাঁচানোর ব্যান্ড পরে ব্যাট করলেন মইন আলি। সোমবার সাউদাম্পটনে।
ছোট টার্গেটে ম্যাচ ভাঙো: বড় স্কোর তাড়া করার সবচেয়ে ভাল উপায়। নিজের মতো প্রাথমিক একটা স্কোর সেট করে নেওয়া। যেটা অবশ্যই ছোট হবে। তার পর সেটা ধরে এগনো। মুরলী বিজয়রা ধরে নিক ওরা টেস্টের তৃতীয় দিনে নামছে না। প্রথম দিনে নামছে। টার্গেটটাও নিজেরা সেট করছে।
সুইং নয়, সুযোগ দেখো: ইনিংসের শুরুতে কিছুটা তো বল নড়বেই। সেটা নিয়ে ভাবতে হবে না। বরং ভারতের ভাবা উচিত, টেস্টটাকে যদি হারা থেকে বাঁচিয়ে ফেলা যায়, তা হলে সেটা কতটা মর্যাদার দাঁড়াবে। বিরাট কোহলিদের তো এই মঞ্চকে সুযোগ হিসেবে দেখা উচিত। একবার এমন চাপে পারফর্ম করে দিতে পারলে আত্মবিশ্বাস কোথায় পৌঁছবে কেউ ভাবতে পারছে?
ছবি এএফপি ও টুইটার
শান্তিবাণী নিয়ে তদন্ত
তৃতীয় টেস্টে হঠাৎই প্রচারের আলোয় ইংল্যান্ডের মইন আলি। মাঠে পারফরম্যান্সের জন্য নয়, গাজার মানুষদের সমর্থনে ‘রিস্টব্যান্ড’ পরার জন্য। আইসিসি-র শাস্তির ঝুঁকি নিয়ে এ দিন মইনকে দেখা যায় দুটি রিস্টব্যান্ড-সহ মাঠে নামতে। যাতে লেখা ছিল, ‘গাজাকে বাঁচান’ আর ‘স্বাধীন হোক প্যালেস্তাইন’। মইনকে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল কিনা এই রিস্টব্যান্ড পরার, ইংল্যান্ডের তরফে এখনও জানানো হয়নি। তবে ইসিবির তরফে বলা হয়েছে, মইন কোনও অপরাধ করেননি। চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকেই অবশ্য মইনকে গাজার মানুষদের সাহায্যে অর্থ তুলতে একটি অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে। আইসিসির আচরণবিধিতে রাজনৈতিক বিবৃতি নিয়ে নিষেধাজ্ঞা আছে। অনুমতি প্রাপ্ত ব্যাট আর ক্রিকেটীয় সরঞ্জামের লোগো ছাড়া অন্য লোগোর প্রদর্শনও নিষিদ্ধ। এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে আইসিসি।