মালয়েশিয়ায় নিজের ভুলে ক্ষুব্ধ অনির্বাণ

মনঃসংযোগ হারিয়ে দারুণ হতাশ অনির্বাণ লাহিড়ী! মেব্যাঙ্ক মালয়েশিয়া ওপেনে এ দিন শুরুটা দুর্দান্ত করেছিলেন বেঙ্গালুরুর বাঙালি। কিন্তু তার পর মাত্র একটা খারাপ শট তাঁর ছন্দটা এমনই নষ্ট করে দেয় যে অনির্বাণ বলে ফেলেছেন, “আমি ভীষণ হতাশ।” যদিও দিনটা দুই-আন্ডার ৭০ স্কোরে শেষ করেছেন। তবু তারকা গল্ফার এ দিনের পারফরম্যান্সকে বলছেন, “বিপর্যয় ছাড়া কিছুই নয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কুয়ালা লামপুর শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৪:০৬
Share:

মনঃসংযোগ হারিয়ে দারুণ হতাশ অনির্বাণ লাহিড়ী!

Advertisement

মেব্যাঙ্ক মালয়েশিয়া ওপেনে এ দিন শুরুটা দুর্দান্ত করেছিলেন বেঙ্গালুরুর বাঙালি। কিন্তু তার পর মাত্র একটা খারাপ শট তাঁর ছন্দটা এমনই নষ্ট করে দেয় যে অনির্বাণ বলে ফেলেছেন, “আমি ভীষণ হতাশ।” যদিও দিনটা দুই-আন্ডার ৭০ স্কোরে শেষ করেছেন। তবু তারকা গল্ফার এ দিনের পারফরম্যান্সকে বলছেন, “বিপর্যয় ছাড়া কিছুই নয়। এই কোর্সে প্রথম রাউন্ডে দুই-আন্ডার ভদ্রস্থ স্কোর। কিন্তু শুরুটা অত ভাল হয়েছিল বলেই আফসোসে হাত কামড়াতে ইচ্ছে করছে।” দিনের শেষে তিনি অবশ্য লিডারবোর্ডে ষোলো নম্বরে। প্রথম রাউন্ডের শেষে যে পরিস্থিতি, তা মোটেই মন্দ নয়।

এ দিন বার্ডি দিয়ে শুরু করার পর তেরো হোল খেলার মধ্যেই পাঁচটি বার্ডি করে পাঁচ শটে এগিয়ে যুগ্ম এক নম্বরে ছিলেন অনির্বাণ। কিন্তু তার পর একটা হোল-এ তাঁর শট বাঙ্কার থেকে গড়িয়ে জলে গিয়ে পড়ার পর থেকেই সব গোলমাল হতে শুরু করে। দিনের শেষে দুঃখ করেছেন অনির্বাণ, “ভাল শুরু করার সুযোগটা নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে ফোকাস নষ্ট করে ফেললাম।”

Advertisement

গত মরসুমে এশীয় ট্যুরের মেরিট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে শেষ করা অনির্বাণ এই মরসুমেই প্রথম ইউরোপীয় সার্কিটে পুরো খেলার যোগ্যতা অর্জান করেছেন। সঙ্গে এশিয়ার এক নম্বরের আসন ফিরে পাওয়ার লক্ষ্যও রয়েছে। তাই তিরিশ লাখ মার্কিন ডলার পুরস্কার মূল্যের এই টুর্নামেন্টে বেশ তেতেই নেমেছেন। এবং আগের মরসুম শেষ হওয়ার পর থেকে নিজের প্রস্তুতির ধরনটা একটু পাল্টেছেন। “অফ সিজনে সাধারণত খুব একটা গল্ফ খেলি না। কিন্তু সপ্তাহ দুই হল পর পর তিন রাউন্ড খেলেছি নিজের প্র্যাক্টিসের ধরনটা বদলাতে,” জানিয়েছেন অনির্বাণ। এবং এ দিনের শুরুটা দেখলে মানতে হবে, পরিবর্তনটা কাজে দিচ্ছে।

এত তীব্র আত্মসমালোচনার পরেও অবশ্য দিনের শেষে ভারতীয়দের মধ্যে অনির্বাণই সেরা। শিব কপূর পার স্কোর করে ৪০তম স্থানে। রশিদ খান এবং জীব মিলখা সিংহ এক-ওভার ৭৩। প্রত্যাবর্তনের আশায় নামা গগনজিৎ ভুল্লাড়ের স্কোর ৭৪। অর্জুন অটওয়ালের মতো মহাতারকা আরও পিছিয়ে ৭৬ স্কোরে। ছয়-আন্ডার ৬৬ স্কোরে যুগ্ম এক নম্বরে লি ওয়েস্টউড ও গ্রেম ম্যাকডাওয়েল। যাঁদের থেকে অনির্বাণ আপাতত পিছিয়ে চার শটে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement