অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড পিচের চরিত্র মাথায় রেখে পাকিস্তান বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পনেরো বাছল। স্পিনার মাত্র দু’জন। তার মধ্যেও শাহিদ আফ্রিদি মূলত অলরাউন্ডার। বরং পেস ব্যাটারিতে পাঁচজন তরুণ। তবে চব্বিশ ঘণ্টা আগে ভারতের মতোই পাক নির্বাচক কমিটিরও কোপে পড়েছেন সেই দেশের সিনিয়র ক্রিকেটাররা। এ দিন পাক অধিনায়ক মিসবা-উল-হক এবং চিফ কোচ ওয়াকার ইউনিসের সঙ্গে মইন খানের চেয়ারম্যানশিপে পাক নির্বাচক কমিটির দীর্ঘ বৈঠকের পর বিশ্বকাপের দলে জায়গা হয়নি শোয়েব মালিক, কামরান আকমল, মহম্মদ শামির মতো সিনিয়রদের পাশাপাশি সৈয়দ আজমলের মতো বেআইনি বোলিং অ্যাকশনের জন্য আইসিসি-নির্বাসিত তারকা পাক অফস্পিনারেরও। ক্রিকেটের তিনটে ফর্ম্যাটেই পাকিস্তানের অন্যতম ম্যাচ জেতানো বোলার হিসাবে গণ্য হয়ে থাকেন যিনি। তবে বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় সম্প্রতি উত্তীর্ণ না হয়েও অলরাউন্ডার মহম্মদ হাফিজ দলে আছেন। যদিও হাফিজ তাঁর অফস্পিন বোলিং করতে পারবেন না বিশ্বকাপে। সিনিয়রদের মধ্যে অধিনায়ক মিসবা বাদে ইউনিস খান রয়েছেন। নইলে ভারতের মতোই তরুণ প্রজন্মের উপর আস্থা রেখেছে পাকিস্তানও। যে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দিনই পরস্পরের মুখোমুখি হবে কাপ-যুদ্ধে।
অন্য দিকে, গত বিশ্বকাপের রানার্স শ্রীলঙ্কার ঘোষিত ১৫ জনের দলে সদ্য বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অফস্পিনার সেনানায়েকে-কে রাখা হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে বাঁ-গোড়ালিতে অস্ত্রোপচার হওয়া পেসার লাসিথ মালিঙ্গাও দলে রয়েছেন। অস্ত্রোপচার-উত্তর এখনও কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা না সত্ত্বেও। শ্রীলঙ্কা নির্বাচকেরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে মালিঙ্গাকে ফিটনেস পরীক্ষা দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিমান ধরতে হবে।
পাকিস্তানের পুরো দল: মিসবা (অধিনায়ক), হাফিজ, শেহজাদ, ইউনিস, হ্যারিস সোহেল, উমর আকমল (উইকেটকিপার), শোয়েব মাসুদ, সরফরাজ, আফ্রিদি, জুনেইদ, ইরফান, সোহেল খান, রিয়াজ, এহসান আদিল, ইয়াসির।