২০০৭-এ বিমানবন্দর থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলকে যে ভাবে দোতলা বাসে চাপিয়ে ঘোরানো হয়েছিল, তেমনই কোনও পরিকল্পনা ছিল কি না জানা নেই। তবে ভারতের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বজয়ের ‘গ্র্যান্ড সেলিব্রেশন’ হবে বলেই ঠিক করে রেখেছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। সে জন্য দলের সবার মুম্বইয়ে ফেরার বিমান টিকিটও বুক করা ছিল। কিন্তু রবিবার ফাইনালে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে যাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই সমস্ত পরিকল্পনা ভেস্তে গেল।
ভারতীয় ক্রিকেটাররাও আর সবাই মিলে মুম্বইয়ে ফিরতে রাজি ছিলেন না। যে যাঁর শহরে ফিরে যেতে চেয়েছিলেন ঢাকা থেকেই। সে জন্য তাঁদের বিমান টিকিট বদল করার জন্য দৌড়োদৌড়িও শুরু হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছুই করা গেল না। প্রায় গোটা দলকে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সোমবার দুপুরের বিমানে মুম্বই ফিরতে হচ্ছে। এঁদের মধ্যে মহম্মদ শামি, বরুণ অ্যারন-সহ তিনজন অবশ্য সোমবার সকালে চলে আসছেন কলকাতায়।
এমনিতেই হারের দুঃখ। তার উপর ঘরে ফেরার টিকিট চেয়েও না পাওয়ার দুঃখে ক্রিকেটাররা বেশ মনমরা। রবিবার রাতে টিম হোটেলে ফিরে অপেক্ষারত সাংবাদিক ও ক্রিকেটপ্রেমীদের ঝাঁক দেখে সামনের গেট দিয়ে হোটেলে না ঢুকে তাঁরা পিছনের দরজা দিয়ে প্রবেশ করলেন। বাইরে তখন হতাশ ক্রিকেট সমর্থকের ঝাঁক।
বাড়িতে হামলা
সংবাদ সংস্থা • চণ্ডীগড়
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের হারের পর ক্ষুব্ধ সমর্থকরা হামলা চালালেন যুবরাজ সিংহের বাড়িতে। চণ্ডীগড়ের মানিমনাজরা অঞ্চলে তারকা ক্রিকেটারের বাড়িতে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এসে হামলাকারীদের আটকায়। মিরপুরে ফাইনাল শেষ হতেই যুবরাজের বাড়ির সামনে বিরাট সংখ্যায় ক্ষুব্ধ সমর্থক জড়ো হন। ম্যাচে যুবরাজের খারাপ পারফরম্যান্স নিয়ে তাঁদের ক্ষোভ জানাতে থাকেন। এর পরই যুবরাজের বাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে উত্তেজিত জনতা।