ভুবনেশ্বর কুমার কি শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপে ভারতের জার্সি গায়ে নামতে পারছেন?
বৃহস্পতিবারের অ্যাডিলেড থেকে যা নির্যাস তার সারমর্মটা সহজ। সম্ভবত পারবেন না! তাঁকে ছাড়াই সম্ভবত কাপ অভিযানে নামতে হবে এমএসডির টিম ইন্ডিয়াকে।
আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ফিটনেস টেস্ট দিতে হবে ভুবনেশ্বর কুমারকে। দিতে হবে ইশান্ত শর্মা এবং রবীন্দ্র জাডেজাকেও। কিন্তু অ্যাডিলেডে ফোন করে জানা গেল, ইশান্তকে যে কোনও উপায়ে ফিট করে তোলার চেষ্টা চলছে। কারণ ধোনির নাকি মনে হচ্ছে মহম্মদ শামির সঙ্গে আগ্রাসী পেসার বলতে তাঁর হাতে শুধু ইশান্ত আছে। তাই ভারত অধিনায়কের তাঁকে চাই। রবীন্দ্র জাডেজা— মনে করা হচ্ছে, তিনিও সম্ভবত সুস্থ হয়ে যাবেন। টিম ম্যানেজমেন্টের কারও কারও নাকি মনে হয়েছে, জাডেজার সমস্যা যতটা না শারীরিক, তার চেয়ে বেশি মানসিক। বল করার সময় একটা ভীতি নাকি কাজ করছে তাঁর কাঁধের চোট নিয়ে। বলা হচ্ছে, সেটা কাটিয়ে তুলতে খুব বেশি সমস্যা হবে না।
শুধু ভুবিকে নিয়ে এখনও কোনও আশার আলো নাকি পাওয়া যাচ্ছে না।
তিন দিনের ছুটি কাটিয়ে এ দিন টিম হোটেলে ফিরলেন ধোনিরা। রবীন্দ্র জাডেজার মতো কেউ কেউ যাঁরা কোথাও না গিয়ে হোটেলেই ছিলেন, তাঁরা আবার ল্যাপটপে ‘জয় হো’ দেখে কাটালেন। বিরাট কোহলি আবার ফুরফুরে মেজাজে টুইট করলেন, ‘যে দিন ফুটবল কিংবদন্তিরা জন্মেছেন! ক্রিশ্চিয়ানো আর নেইমারকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।’ শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ায় ভারতীয় হাইকমিশনে ডিনারের আমন্ত্রণে যোগ দেবে টিম ইন্ডিয়া। পরের দিন সকালে বিশ্বকাপের ওপেন মিডিয়া সেশন আর দুপুরে ফিটনেসের মহাপরীক্ষা। যেখানে চূড়ান্ত অবস্থা বোঝা যাবে চোটগ্রস্ত তিনের।
ভুবনেশ্বরকে নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টের কোনও কোনও অংশে বিরক্তিটা হল, তিনি চোট লুকিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় এসেছিলেন। যা বিশ্বকাপের দল নির্বাচনী বৈঠকের সময় টিম ফিজিও নীতিন পটেলও নাকি এড়িয়ে যান। অভিযোগ তোলা হচ্ছে, পনেরো দিন পরে কোনও প্লেয়ার ফিট হবে কি না, তার প্রেক্ষিতে টিম কোন দিন বাছা হয়েছে? বরাবরই হয়েছে, নির্বাচনের সময় প্লেয়ারের ফিটনেসের প্রেক্ষিতে। সেটা বিচার্য হলে ভুবি নাকি বিশ্বকাপ পনেরোয় আসতেনই না।
টিমের ফিটনেস নিয়ে আশঙ্কা ছিল বলেই ব্যাকআপ পেসার হিসেবে মোহিত শর্মা এবং ধবল কুলকার্নিকে দেশে ফেরত না পাঠিয়ে অস্ট্রেলিয়াতেই রেখে দিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। যা শোনা গেল, ভুবনেশ্বর না পারলে শেষ পর্যন্ত মোহিতকেই টিমে ঢুকিয়ে ফেলা হবে। মনে করা হচ্ছে, সেটা হলে টিমের কাছে একপ্রকার আশীর্বাদ। কারণ মোহিত ত্রিদেশীয় সিরিজে ভাল বল করেছেন। ভুবনেশ্বরের গতি নেমেছে ঘণ্টায় একশো কুড়ি কিলোমিটারে। মাঠে পুরো সময় থাকতে পারছেন না। সে দিক থেকে মোহিত নাকি অনেক ভাল হবে। ডেথে ভাল স্লোয়ার ইয়র্কার দিতে পারেন। তাঁর বৈচিত্রও আছে। আর গতি— সেটাও বেশি ভুবনেশ্বরের থেকে। তবে ভুবনেশ্বরের বদলে মোহিতকে যদি শেষ পর্যন্ত নিতে হয়, ৮ ফেব্রুয়ারির ভারত-অস্ট্রেলিয়া প্র্যাকটিস ম্যাচের আগে সেটা সম্ভব নয়। সে দিনই ইশান্ত-ভুবনেশ্বর-জাডেজাকে খেলানো হবে। ম্যাচে অবস্থা দেখে তার পর পরিবর্তের ভাবনা।