বড়পর্দায় ডার্বিতে চোখ। শনিবার জলপাইগুড়িতে।
ঘটি-বাঙাল লড়াইয়ে তেতে উঠল জলপাইগুড়িও।
বড় পর্দায় আই লিগের ডার্বি ম্যাচ দেখতে শনিবার বিকেলে বেশ ভিড় হয়েছিল জলপাইগুড়ি টাউন ক্লাবের ইন্ডোরে। মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের ডার্বি ম্যাচটি বড় পর্দায় দেখানোর আয়োজন করেন জলপাইগুড়ির ম্যাঞ্চেস্টার ফ্যানস ক্লাবের সদস্যরা। গত দুর্গাপুজোর দশমীতে জলপাইগুড়িতে বড় পর্দায় খেলা দেখানোর আয়োজন করেছিলেন। এ বার নিয়ে দ্বিতীয়বার তাঁরা এই আয়োজন করলেন। তাতে যেন খেলার মাঠের উত্তেজনাই চলে এল ঘরের ভিতরে।
জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলা দেখতে টিকিটের দাম ছিল ১০০ টাকা। আসন ছিল ৮০টি। ৬০টি টিকিট বিক্রি হলেও এদিন খেলা দেখতে হাজির ছিলেন ৪০ জন। তাতেও উৎসাহে ভাঁটা পড়েনি। র্যান্টির গোলে ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে যাওয়ায় লাল হলুদ সমর্থকদের তাণ্ডবে এলাকায় টেঁকা দায় হয়ে পড়েছিলে সবুজ মেরুনদের। মিনিট ১৫ পরে যখন গোল শোধ করে দেয় মোহনবাগান, পাল্টা আক্রমণে তখন দিশাহারা ইস্টবেঙ্গল।
মোহনবাগান যখন আক্রমণ করছে তখন উত্তেজনায় নিজেকে ধরে রাখতে পারছিলেন না মোহনবাগানের সমর্থক শুভম ছেত্রী। তিনি বলেন, “আমি এর আগের বারও এখানে খেলা দেখতে এসেছিলাম। বড় মাঠে দেখা এবং বড় পর্দায় দেখার অভিজ্ঞতা আলাদা। এখানে বড় পর্দায় অনেক ভাল দেখা যায়। সবাই মিলে দেখার জন্য হৈ চৈ বেশি হয়। ভাল লাগে।” ইস্টবেঙ্গের সমর্থক অর্ঘ্যতনু শেখ বলেন, “আজ দু’দলইও ভাল খেলেছে। বড় পর্দায় বন্ধুদের সঙ্গে দেখার মধ্যে যে উত্তেজনা হয়, তা মাঠে গিয়ে পাওয়া যায় না। এখানে সেটা উপভোগ করা যায়।”
শুধু এঁরাই নয়, এ দিন বড়পর্দায় খেলা দেখতে এসেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কংগ্রেসপাড়ার বাসিন্দা বরুণ বাগচি। তিনি বলেন, “এখানে এঁরা আয়োজন করেছে শুনে এলাম। বড় পর্দায় খেলা দেখে ভালই লাগল।” আগামী জুন মাসে অবসর নেবেন সরকারি কর্মী দেবাশিস সেনগুপ্ত। তিনিও এদিন খেলা দেখতে এসেছিলেন। তিনি বলেন, “ছোটরা একটা নতুন ভাবে খেলা দেখানোর আবোজন করেছে শুনে চলে এলাম। একটা ভাল অভিজ্ঞতা হল।”
টাউন ক্লাবের ইন্ডোরে যখন খেলা দেখানো শুরু হয় তখন বাইরে মাঠে টলিউড তারকা একাদশ বনাম পুরসভার চেয়ারম্যানের একাদশের মধ্যে খেলার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান চলছে। তার মধ্যেই ইন্ডোরে খেলা দেখানো শুরু হয়। জলপাইগুড়ির ম্যাঞ্চেস্টার ফ্যানস ক্লাবের সম্পাদক প্রণয় দাস বলেন, “আমাদের এই খেলা দেখাতে ৬ হাজার টাকা খরচ হয়। আমাদের লাভের দরকার নেই। বড় শহরের মতো জলপাইগুড়ির মতো ছোট শহরে বড় পর্দায় খেলা দেখা জনপ্রিয় করার লক্ষ্য নিয়েই আমরা এই আয়োজন করছি।” উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে খেলা চলাকালীন দর্শকদের চা এবং স্ন্যাক্স পরিবেশন করা হয়।