ম্যাচ শেষ করেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি। ছবি: গৌতম ভট্টাচার্য
লিওনেল মেসি যখন বিশ্বকাপে তাঁর উপুর্যপুরি ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কারটা নিতে এলেন, তাঁর মুখে এ বার সত্যি আভা! ভারতীয় সময় রাত সাড়ে বারোটা। আর মেসির মুখে যেন সকাল দশটার আলো।
বসনিয়া ম্যাচে এক রকম শরীরী ভাষা ছিল। ইরানের সঙ্গে শেষ মুহূর্তের গোলের পর যা অনেক উন্নতি হয়েছিল। আর বুধবারের দু’গোলে আরও ঝকঝকে দাঁড়াল।
বিশ্বকাপ যেন অন্য কোনও গ্রহের ফুটবল টুর্নামেন্ট, এটা এখন আর মনে হচ্ছে না লিওনেল মেসির।
কিন্তু তাঁকে যে একটু আগে বৃহস্পতি থেকে আসা বলে গেলেন নাইজিরীয় কোচ! মেসি হাসেন, “কোচকে ধন্যবাদ। কিন্তু তেমন কিছু নয়। আমি খুব খুশি আমার টিম ভাল খেলে জিতেছে বলে। তবে একই সঙ্গে দুশ্চিন্তা। এ বার নক আউট। এ বার আর ভুল করলে চলবে না। ভুল করেছো, কী বাড়ি।”
এক আর্জেন্তিনীয় সাংবাদিক জিজ্ঞেস করলেন বিশ্বকাপ জেতাটা কেন এত গুরুত্বপূর্ণ আপনার কাছে? মেসি বলেন, “কী বলছেন, গুরুত্বপূর্ণ হবে না! গোটা দেশ তাকিয়ে আছে এর দিকে। কাপ জিতলে ওরা কী পরিমাণ আনন্দ পাবে ভাবতে পারছেন। তা ছাড়া ফুটবল যে সব কারণের জন্য বিউটিফুল, তার মধ্যে সেরা কারণ হল বিশ্বকাপ।”
ম্যান অব দ্য ম্যাচ তিন থেকে চারটের বেশি প্রশ্নের উত্তর দেন না। প্রশ্ন করতে চেয়ে হাত অনেক, কিন্তু কিছু করার নেই। শেষ প্রশ্ন করা হল, আপনাকে আজ কোচ তিরিশ মিনিট আগে তুলে নিলেন। সাবেয়া কি আপনার সঙ্গে কথা বলেই ব্যাপারটা করেছেন? না আপনি উঠে আসার ব্যাপারটা জানতেনই না।
মেসি একগাল হাসলেন, “আরে না, না আমার সঙ্গে কথা বলেই করা। আসলে বসনিয়া থেকে ইরান ম্যাচের মধ্যে পাঁচ দিনের বিশ্রাম ছিল কিন্তু এখানে গ্যাপ ছিল মাত্র তিন দিন। তাই কোচ বলাতে আমি বললাম, ঠিক আছে আমাকে তুলে নিতে চাও তুলে নাও।”
উত্তর দেওয়ার ভঙ্গি আর ইয়ার্কি করতে চাওয়া থেকেও পরিষ্কার, বরাবরের ইন্ট্রোভার্ট মেসি ব্রাজিলে এখন দারুণ মুডে আছেন!