ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে তাদের ঘরের মাঠে খেলা। অথচ বৃষ্টির জন্য দু’দিন ধরে প্র্যাকটিসই করতে পারল না বাংলা। ইন্ডোরে প্র্যাকটিসেরও সুব্যবস্থা নেই। তাই সোমবার প্রস্তুতি ছাড়াই বিজয় হাজারে ট্রফির আঞ্চলিক পর্বে দ্বিতীয় ম্যাচে নামছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লরা।
গত তিন দিন ধরে রাঁচিতে যে রকম বৃষ্টি ও স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া, তা আর যাই হোক, ক্রিকেটের অনুকূল নয়। বৃহস্পতিবার বাংলার প্রথম ম্যাচও পুরো হয়নি। তবে পুরো পঞ্চাশ ওভার ব্যাট করতে পেরেছিলেন বাংলার ব্যাটসম্যানরা। প্রথম ম্যাচে যে সুযোগ পায়নি ঝাড়খণ্ড। সেই ম্যাচে এক বলও হয়নি। সুতরাং সোমবার বাংলার বিরুদ্ধেই প্রথম ম্যাচ খেলতে নামছেন সৌরভ তিওয়ারি, শাহবাজ নাদিমরা।
রবিবার সন্ধেয় রাঁচি থেকে ফোনে বাংলার কোচ অশোক মলহোত্র বলছিলেন, “তিন দিন ধরে বৃষ্টির পর আজ আবহাওয়া একটু ভাল। রোদও উঠেছে। মাঠ ভিজে বলে আজ প্র্যাকটিস করতে পারলাম না আমরা। তবে ছেলেরা জিম করেছে। এ ভাবেই নিজেদের ফিট রাখছে।” মাঠে প্র্যাকটিসের সুযোগ না পাওয়ায় ইন্ডোরে প্র্যাকটিস করতে চেয়েছিল বাংলা শিবির, জানালেন ম্যানেজার সমীর দাশগুপ্ত। বলেন, “আমরা ইন্ডোরে প্র্যাকটিস করতে চাওয়ায় আমাদের জানানো হয়, ওখানে আলো কম। ব্যবস্থা পুরো তৈরিও নয়। সে জন্যই আর প্র্যাকটিস করা গেল না।” ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনির শহরে এত বড় জেএসসিএ স্টেডিয়াম, যেখানে একাধিক আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়েছে, সেখানে ইন্ডোর প্র্যাকটিসের ব্যবস্থা এখনও তৈরি হয়ে ওঠেনি।
বৃষ্টির জন্য ঢাকা বলে উইকেটও দেখতে পাননি বলে জানান ক্যাপ্টেন লক্ষ্মী। বলেন, “উইকেট দেখা হয়নি। পিচ তো ঢাকা দেওয়া। কাল সকালে ম্যাচের আগেই দেখব। তার পর চূড়ান্ত দল ঠিক করা হবে। তবে দলের সবাই ফিট। সবাই মাঠে নামার জন্য তৈরি।” বাংলা শিবিরের যা খবর, তাতে সায়নশেখর মন্ডল অথবা বি অমিতের জায়গায় ইরেশ সাক্সেনা খেলতে পারেন। সেটা ঠিক হবে ম্যাচের দিন উইকেটের অবস্থা দেখে। উইকেট যদি ব্যাটিং সহায়ক হয়, তা হলে ইরেশকে খেলানো না-ও হতে পারে। অনূর্ধ্ব উনিশ বিশ্বকাপ থেকে দেশে ফিরে বাংলা দলে যোগ দিলেন তরুণ স্পিনার আমির গনিও।