সামনে শুধু স্যর ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান। যাঁর ঝুলিতে এক ডজন টেস্ট ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড। ৬৫ বছর পর সেই দরজায় এ বার কড়া নাড়ছেন কুমার সঙ্গকারা। রবিবারই যিনি পূর্ণ করেছেন কেরিয়ারের একাদশতম দ্বিশতরান।
উপমহাদেশের ক্রিকেটার কি পারবেন অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে ক্রিকেট বিশ্বে রয়ে যাওয়া এই রেকর্ড ভাঙতে? চলতি নিউজিল্যান্ড সিরিজেই টেস্ট থেকে বিদায় নেওয়ার কথা ছিল সঙ্গকারার। রেকর্ডের হাতছানি কি দীর্ঘায়িত করতে পারে সঙ্গকারার টেস্ট জীবন?
বাঁ-হাতি শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যান যদিও সেই প্রসঙ্গ পুরোপুরি উড়িয়ে দিচ্ছেন না। বলছেন, “ব্র্যাডম্যানকে ছুঁতে কার না ভাল লাগে? আমারও লাগবে।” সঙ্গে এটাও বলতে ভুলছেন না, “পুরো ব্যাপারটাই নির্ভর করবে বিশ্বকাপের পর কী অবস্থায় থাকব সেটার উপর। সুতরাং ভবিষ্যদ্বাণী করাটা বেশ শক্ত। তবে টেস্ট ক্রিকেটের জন্য নিজের মধ্যে ছিটেফোঁটা বাসনাও যদি থাকে, তা হলে নির্বাচকদের তা জানাতে এক মুহূর্তও দ্বিধা করব না।” তিনি জানান, বিশ্বকাপের পর ডনের রেকর্ড ছোঁয়া নিয়ে ভেবে দেখবেন। আরও বলেন, “দেশের হয়ে খেলার গর্ব বা ইচ্ছে কখনই শেষ হওয়ার নয়। তবে এটাও দেখতে হবে, পরিবারকে কতটা সময় দিতে পারছি। তা ছাড়া মাথা উঁচু করে ক্রিকেট ছাড়ার মুহূর্ত খুব কমই আসে। সেটা চলে গেলে পরে কী হবে, কে জানে?”
ফলে মাথা উঁচু করে ক্রিকেটকে গুডবাই, না ক্রিকেট কিংবদন্তি ডনকে ছোঁয়া এই দোলাচলেই এখন দুলছে সঙ্গকারার টেস্ট জীবন। রবিবারই টেস্ট ক্রিকেটে দ্রুততম ১২ হাজার রানের মালিক হয়েছেন সঙ্গকারা। ২৩ টেস্ট কম খেলে টপকে গিয়েছেন সচিন তেন্ডুলকরকে। বিগত পাঁচ বছরে তাঁর রানের গড় ৫৭, ৯৯.২৮, ৪৯.২৩, ৫১.১৩, ৮৫.৩৩ ও ৭১.৯০। যা সচিন, লারা, পন্টিংকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। ফলে ব্র্যাডম্যানকে স্পর্শ করার জন্য সঙ্গকারার ব্যাট যে প্রবল ভাবেই সচল তা পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট। অপেক্ষা শুধু বিশ্বকাপের পর সঙ্গকারার ঘোষণা পর্যন্ত।