তিনটে গোল। অসংখ্য গোলমুখী পাস। প্রতিআক্রমণের ঝড় তুলে দেওয়া। এটা কিন্তু মেসি বা রোনাল্ডোর পরিসংখ্যান নয়। বরং বিশ্বকাপে নিজের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সৌজন্যে ঝড় তুলে দিয়েছেন নেদারল্যান্ডসের আর্জেন রবেন।
সাইক্লোনের সঙ্গেই যাঁর গতির তুলনা করা হচ্ছে। তিরিশ বছর বয়সে যিনি আবার নতুন করে ‘স্প্রিন্টারের’ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। কিন্তু গ্রুপ পর্বের অন্যতম নায়ক রবেনের কাছে ব্যক্তিগত সাফল্যের থেকে বেশি জরুরি নেদারল্যান্ডসের জয়। বলে দিচ্ছেন, “দলকে সাহায্য করতে পেরে খুব ভাল লাগছে। কিন্তু ফুটবল দলগত খেলা। একার কৃতিত্বে কিছু হয় না।” চিলিকে ২-০ হারিয়ে বিশ্বকাপে অপরাজিত থাকার রেকর্ড অখুণ্ণ রাখল ফান গলের দল। যাদের দাপটে পরাস্ত হতে হল বিশ্বচ্যাম্পিয়নদেরও। দলের জন্য গর্বিত তিনি, সেই কথা জানিয়ে রবেন বলেন, “আমরা বিপক্ষকে কোনও সুযোগ দিইনি। সিংহের মতো লড়াই করলাম। কমলা সিংহ।” যে দল স্পেন, অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে তাঁদের ২-০ উড়িয়ে রবেন যোগ করেন, “চিলি খুব ভাল দল। ওদের বিরুদ্ধে যেমন সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে খেলেছি আমরা তার প্রশংসা করতেই হবে।”
শুধু গ্রুপে শীর্ষে থাকা নয়। ব্রাজিলের সঙ্গে মুখোমুখি না হওয়ার স্বস্তিও আছে নেদারল্যান্ডস শিবিরে। দলের দুই সৈনিক জানমাত ও দে ভ্রিজ জানিয়ে দিলেন নেইমারদের মুখোমুখি না হওয়ায় খউব ভাল হয়েছে। “ব্রাজিল নিজের ঘরের মাঠে খেলছে। ওরা খুব শক্তিশালী দল। তাই শেষ ষোলোয় ওদের সঙ্গে দেখা না হওয়া খুব খারাপ কিছু না,” বলেন জানমাত। আবার দে ভ্রিজ বলছেন, “বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বটা ভাল কাটল। ব্রাজিলের সঙ্গে না খেলতে পারাটা ভালই হল।”
খেলার শেষে আবার সাংবাদিকদের সঙ্গে বিতর্কেও জড়িয়ে গেলেন ফান গল। নেদারল্যান্ডস কোচকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তাঁর দল কি আক্রমণে বেশি মন দিয়ে রক্ষণ জলাঞ্জলি দিচ্ছে। মেজাজ হারিয়ে সেই সাংবাদিকের প্রশ্নে ডাচ কোচ বলেন, “আপনি আমায় বোঝান তো আক্রমণাত্মক ফুটবল মানে কী? আপনার কাছে যদি বুদ্ধিমান সব প্রশ্ন থাকে আমার কাছেও আছে, এ বার জবাব দিন।” সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “আমার দল বানানো হয়েছে আক্রমণ করার জন্য। অন্য দলদের থেকে একটা হলেও বেশি গোল করতে ভালবাসি আমরা। আর আমার পদ্ধতিতে জয় আসছে। সেটাই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ।”