বিশ্বকাপ শুরুর মাসদুয়েক আগেই ব্রাজিলে শুরু হয়ে গেল ফুটবল-গৃহযুদ্ধ।
নেইমারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন স্বয়ং পেলে। ব্রাজিল দলের সেরা অস্ত্রকে ‘ডাইভার’ তকমা দিলেন পেলে। বলে দিলেন, “সান্তোসে থাকাকালীন নেইমার ফাউল নেওয়ার জন্য ইচ্ছে করে পড়ে যেত। অকারণে পড়ে যেত যখন রেফারির ফাউল দেওয়ার কোনও প্রশ্নই ছিল না।” সঙ্গে অবশ্য যোগ করেছেন, “এখন ইউরোপে গিয়ে নেইমারের স্বভাবটা পাল্টেছে। কারণ ওখানে খেলার ধরন একদম আলাদা।”
অকারণে ঝাঁপ দেওয়ার জন্য হালফিলে গোটা ইউরোপ জুড়ে কটাক্ষ করা চলছিল নেইমারকে। বিশেষ করে পেনাল্টি বক্সের মধ্যে তাঁর ঝাঁপ। যে অভিযোগে এ বার গলা মেলালেন পেলেও। শুধুমাত্র ‘ডাইভার’ নয়। পেলে আরও বলছেন, রোগাপাতলা চেহারার জন্য ডিফেন্ডারদের খুব সহজ শিকার নেইমার। তাঁর কথায়, “মেসি বা আগেরোর মতো শক্তিশালী নয় নেইমার। তাই সহজেই ডিফেন্ডাররা ওকে আটকে দেয়। আর ফাউল নেওয়ার জন্য নেইমার খুব বাড়িয়ে জিনিসটাকে দেখানোর চেষ্টা করে। যে কারণে সবাই ওকে ডাইভার বলে। ওর বিরুদ্ধে যখন এত বার ঝাঁপ দেওয়ার অভিযোগ উঠছে, তা হলে সেটা কিছুটা হলেও সত্যি।”
তবে ব্যাপারটাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য এখন থেকেই কাজ শুরু করে দিয়েছে ব্রাজিলীয় প্রচারমাধ্যম। বিশ্বকাপের আগে যাতে পেলের এই মন্তব্যে কোনও বিতর্ক না হয়, তাই প্রচারমাধ্যমের মিলিত বক্তব্য, নেইমারকে কটাক্ষ করেননি পেলে। বরং তাঁকে সতর্ক করার জন্যই এই কথাগুলো বলেছেন। তাঁর মন্তব্য, “বিশ্বকাপ বড় একটা টুর্নামেন্ট। একটা ম্যাচের ব্যাপার তো নয়। সবাই আশা করছে ব্রাজিলকে ট্রফি জিততে সাহায্য করবে নেইমার। কিন্তু নেইমারের এই স্বভাব ওকে বিপদে ফেলতে পারে।”
শোনা যাচ্ছে, সাম্প্রতিক কালে নেইমারের ঝাঁপ দেওয়ার এই স্বভাবটা পাল্টে ফেলার জন্য তাঁকে পরামর্শ দিয়েছেন পেলে। যাতে বিশ্বকাপে ব্রাজিলের জন্য কোনও সমস্যা না হয়। কারণ আধুনিক ফুটবলে রেফারিদের চোখে ইচ্ছাকৃত ঝাঁপ দেওয়াটা অপরাধের কম নয়। এমনকী এর জন্য তাঁরা হলুদ কার্ড দেখাতেও দ্বিধা করেন না। সবশেষে আবার পেলে মনে করছেন, ইউরোপে খেলার অভিজ্ঞতা ফুটবলার হিসেবে আরও উন্নতি করতে সাহায্য করবে নেইমারকে। বলেন, “ইউরোপের ফুটবল অনেক কঠিন। নেইমারের জন্য তাই ইউরোপে খেলা খুব ভাল অভিজ্ঞতা। এতে ব্রাজিল দলের সুবিধে হবে।”