শ্রীলঙ্কার প্রধান নির্বাচক সনৎ জয়সূর্য নিজেই বলছেন, তাঁর দলের বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে তিনি খুশি নন।
নিউজিল্যান্ডের কাছে চলতি ওয়ানডে সিরিজ হারের পর এমনই উপলব্ধি বিশ্বকাপজয়ী শ্রীলঙ্কা দলের সদস্যের। রবিবার ডুনেডিনে সাত ম্যাচের সিরিজের ছ’নম্বর ম্যাচেও ১২০ রানে হেরে সিরিজ হার নিশ্চিত করল তারা। এই হারের পর জয়সূর্য বলেন, “নিউজিল্যান্ডে দলের পারফরম্যান্স মোটেই খুশি হওয়ার মতো নয়। আগামী কয়েক সপ্তাহে নিজেদের শুধরে নিতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা, বিশ্বকাপে যেখানে যাদের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ খেলব আমরা, তাদের বিরুদ্ধেই খেলছি।” নিউজিল্যান্ডের পরিবেশে মানিয়ে নিয়ে খেলাটা যে কোনও দলের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আর এই পরিবেশে গত দু’মাস ধরে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। এই দু’মাসে নিজেদের যে ভাবে মানিয়ে নেওয়া উচিত ছিল, সঙ্গকারা, জয়বর্ধনেরা তা পারেননি বলে মনে করেন জয়সূর্য।
রবিবার সঙ্গকারা ৮১-র ইনিংস খেললেও বাকিরা সবাই ফ্লপ। তাঁর পর সবচেয়ে বেশি রানের ইনিংস খেলেন যিনি, সেই ওপেনার থিরামান্নে ২৯-এর বেশি তুলতে পারেননি। নিউজিল্যান্ডের ৩১৫-র বিশাল ইনিংসের জবাবে ১৯৫-এই শেষ হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। কেইন উইলিয়ামসনের ৯৭ ও রস টেলরের ৯৬ নিউজিল্যান্ডকে তিনশোর গণ্ডি পার করিয়ে দেয়। শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংয়ের মেরুদন্ড ভেঙে দেন কোরি অ্যান্ডারসন, চার উইকেট নিয়ে।
জয়সূর্য বেশি চিন্তিত শ্রীলঙ্কার বোলিং বিভাগ নিয়ে। প্রচুর রান দেওয়া বোলারদের নিয়ে তাঁর বক্তব্য, “ওরা নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে সেই অনুযায়ী বল করতে পারছে না। অভিজ্ঞতার অভাবটা টের পাওয়া যাচ্ছে। মালিঙ্গার না থাকার মাশুল দিতে হচ্ছে আমাদের।” মালিঙ্গা অবশ্য বিশ্বকাপের আগেই চোট সারিয়ে ফিরে আসবেন বলে জানান জয়সূর্য। তিনি বলেন, “গতকাল ও প্রায় ৩০টা বল করেছে। আজও ওকে যখন নেটে বল করতে দেখি, তখন ওর কোনও অসুবিধা হচ্ছিল বলে মনে হল না। বিশ্বকাপের আগে মনে হয় ও তৈরি হয়ে যাবে।” শুধু জয়সূর্য নন, সারা শ্রীলঙ্কাই এখন তাকিয়ে তাঁর সেরে ওঠার দিকে।