যুবরাজ সিংহ যখন সকালে জানালেন, আজ কোনও প্র্যাকটিস নয়। নেট ফেট কিছু নয়। অনুশীলনে যাওয়া একান্ত ফুটবল খেলতে। তখন ঘড়িটা এক ঝলক দেখলাম।
সকাল পৌনে এগারোটা। মানে এপ্রিল ফুল হওয়ার আওতায় থাকার সময়। আর ভারতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত কে না জানে যুবরাজের অসামান্য রসবোধ। কেমো হওয়ার সময়েও বস্টনের বিছানায় শুয়ে বন্ধুদের জোক বলেছেন। আর আজ তো দিনটাই আলাদা।
বিকেলে বাংলাদেশ ক্রিকেট অ্যাকাডেমির মাঠে পৌঁছে অবশ্য দেখা গেল মোটেও তিনি রসিকতা করছিলেন না। গোটা টিম প্র্যাকটিসে গেল ক্রিকেট কিটস ছাড়াই। সারাক্ষণ ফুটবল খেলল আর তা-ও কি না খালি পায়ে। ক্রিকেটারদের ফুটবল নিয়মিত খেলানোর কারণ হিসেবে বলা হয়ে থাকে এতে নাকি একঘেয়ে অনুশীলন থেকে বৈচিত্র আসে। ক্রিকেটারদের মন-মেজাজ ফ্রেশ হয়। কিন্তু সদ্য কোচের চাকুরিতে নবীকরণ হওয়া ডানকান ফ্লেচার হঠাৎ খালি পায়ের ফুটবল চালু করলেন কেন?
একটা বেসরকারি ব্যাখ্যা শোনা গেল যে, নরম ঘাসের ওপর খালি পায়ে খেললে নাকি বাড়তি আরাম হয়। সরকারি ব্যাখ্যা কোনটা জানার কোনও উপায় নেই কারণ টিম তো গড়পরতা দিনে দেশজ মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলে না। যুবরাজকে দেখা গেল বাঁ হাঁটুতে নি-ক্যাপ নিয়েই খেলে চলেছেন। এক ঘণ্টা দশ মিনিট ধরে একটা টিম ফুটবল খেলছে তা-ও না হয় বোঝা গেল। কিন্তু খালি পায়ে খেলছে এমন ছবি তো কেউ কখনও দেখেনি! ধোনি ফুটবল খুব ভাল খেলেন। যেমন স্টপারে, তেমনই ফরোয়ার্ডে। এ দিন প্র্যাকটিস ম্যাচে দু’টো দারুণ গোলও করলেন। কিন্তু তাঁর টিমের সবাই তো এত দক্ষ নয়। দ্রুতই দেখা গেল যুবির গোড়ালিতে লেগেছে। রোহিত শর্মার লাগল কুঁচকিতে।
প্র্যাকটিস শেষে গোড়ালিতে ক্রেপ ব্যান্ডেজ জড়িয়ে লেংচে লেংচে ফিরলেন যুবরাজ। ভারতের সেমিফাইনাল শুক্রবার। সেমিফাইনালের আগে হয়তো তিনি সুস্থ হয়ে যাবেন। কিন্তু কেউ বুঝছে না খালি পায়ে এই অনর্থক ঝুঁকি নেওয়ার কী দরকার ছিল? সাংবাদিকেরা ঘিরে ধরলেন টিম ফিজিও নীতিন পটেলকে। কতটা গুরুতর যুবির চোট? নীতিন বললেন, “আমি সংশ্লিষ্ট লোক নই এই ব্যাপারে কথা বলার।”
এটা অবশ্য এপ্রিলের প্রথম দিবসের নতুন তত্ত্ব কিছু নয়। টিম ইন্ডিয়ার আধুনিক যা হালচাল, কোনও প্রশ্নেরই দৈনিক উত্তর পাওয়ার উপায় নেই! সে প্রশ্ন যত প্রাসঙ্গিকই হোক না কেন।
অশ্বিন, ধোনি, যুবরাজদের অভিনব ফুটবল। মঙ্গলবার ঢাকায়। ছবি: এপি, দেবাশিস সেন
টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
প্রথম সেমিফাইনাল
৩ এপ্রিল
শ্রীলঙ্কা : ওয়েস্ট ইন্ডিজ (ঢাকা, ৬-৩০)
দ্বিতীয় সেমিফাইনাল
৪ এপ্রিল
ভারত : দক্ষিণ আফ্রিকা (ঢাকা, ৬-৩০)