অনুশীলন চলাকালীন আবার ঝামেলায় জড়ালেন গুরবিন্দর সিংহ। দু’বছর আগে টোলগের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের এই ডিফেন্ডার। এ বার কেভিন লোবোর সঙ্গে ঝামেলায় জড়ালেন তিনি। তবে টোলগের মতো ঘুষোঘুষি হয়নি। গুরবিন্দর এবং লোবো একে অপরের দিকে তেড়ে গেলেও, বাকি ফুটবলারদের হস্তক্ষেপে এড়ানো যায় মারামারি।
গত দু’বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, মরসুমের শেষের দিকে এসে অনুশীলনের সময় অকারণে মাথা গরম করে লাল-হলুদ ফুটবলাররা একে অপরের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ছেন। গত মরসুমে মেহতাব-খাবরার মধ্যেও তুমুল ঝামেলা হয়েছিল। বুধবার সকালে নিজেদের মাঠে ম্যাচ প্র্যাকটিসের সময় থেকেই লোবো এবং গুরবিন্দরের মধ্যে চোরাগোপ্তা মারামারি চলছিল। লোবো প্রথমে গুরবিন্দরকে বিশ্রী ট্যাকল করেন। যাতে পায়ে চোট পান তিনি। এর পর কিছুটা বদলা নেওয়ার মানসিকতা নিয়েই লোবোকে পাল্টা বিপজ্জনক ট্যাকল করেন গুরবিন্দরও। কিন্তু লোবো দ্রুত সরে যাওয়ায়, বড় ধরনের কোনও চোট পেতে হয়নি। মেজাজ হারিয়ে গোয়ার মিডিও তেড়ে যান গুরবিন্দরের দিকে। গুরবিন্দরও তেড়ে আসেন। মাঠে কিছু না বললেও ড্রেসিংরুমে ফিরে আর্মান্দো কোলাসো ফুটবলারদের বলেন, “তোমরা সবাই ভাল ফুটবলার। বড় ক্লাবের জার্সি গায়ে খেলছ। তোমাদের আরও দায়িত্ববান হতে হবে।” কোচের এই বার্তার পর লোবো এবং গুরবিন্দর একে অপরের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেন।
ইস্টবেঙ্গল মাঠে যখন লোবো-গুরবিন্দরের ঝামেলা চলছে, তখন ওডাফা-কিংশুকদের উজ্জীবিত করতে মাঠে আসেন বাগান সহ- সচিব সৃঞ্জয় বসু। বকেয়া বেতন মিটিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি ভোকাল টনিক দেন ফুটবলারদের। শুক্রবারই স্পোর্টিং ক্লুবের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলতে গোয়া যাচ্ছে বাগান। অবনমনের প্রশ্নে যে ম্যাচটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সৃঞ্জয়বাবু ফুটবলারদের বলেন, “মোহনবাগানের মতো ক্লাব অবনমনের জন্য লড়াই করছে এটা আমাদের সবার কাছে লজ্জার। তোমাদের দায়িত্ব নিয়ে এই জায়গা থেকে দলকে বের করে আনতে হবে।” করিম বেঞ্চারিফা অনুশীলনের পর বলে দেন, “স্পোর্টিং ম্যাচ আমাদের কাছে ডু অর ডাই ম্যাচ। এই ম্যাচে জিততে না পারলে আমাদের সমস্যা জটিল হয়ে উঠবে।”