বিশ্বকাপ নিয়ে বিরক্ত তোরে।
শেষ ষোলোয় ওঠার থেকে মাত্র কয়েক মিনিট দূরে ছিলেন তাঁরা। যখন ইনজুরি টাইমে আইভরি কোস্টের সব স্বপ্ন শেষ করে দেন জিওর্জিওস সামারাস। সৌজন্যে রেফারির দেওয়া পেনাল্টি।
বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলেও এই ঘটনা এখনও ভুলতে পারছেন না ইয়াইয়া তোরে। যাঁর মতে, আফ্রিকার দেশ হওয়ার ‘শাস্তি’ পেতে হল দলকে। ফিফার বিরুদ্ধে তোপ দেগে আফ্রিকার সেরা ফুটবলার বলে দিচ্ছেন, “আমি বারবার রেফারিকে বললাম, পেনাল্টি ছিল না। কিন্তু কোনও কথা শুনল না।” শুধু এখানেই থামেননি তোরে। ফিফাকে একহাত নিলেন, আফ্রিকান দেশগুলোর প্রতি কোনও ন্যায় বা বিচারব্যবস্থা নিতে তোয়াক্কা করেন না ব্লাটার। বলেন, “সবাই মজে আছে বাকি দলগুলো নিয়ে। কারও কিছু আসে যায় কি, যদি কোনও আফ্রিকান দলের বিরুদ্ধে ভুল সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়? এই ভুলগুলোই আমাদের আটকে দেয় বড় স্বপ্ন দেখার থেকে। এটা এমন একটা কেলেঙ্কারি যা নিয়ে বাকি বিশ্ব মাথা ঘামায় না।”
গ্রিস ছাড়াও জাপানের বিরুদ্ধে দুটো পরিষ্কার পেনাল্টি তাঁর দলকে দেওয়া হয়নি বলে দাবি জানান তোরে। বলেন, “গ্রিসের বিরুদ্ধে একটা পেনাল্টি তো আবিষ্কার করা হল। জাপান ম্যাচেও দুটো পেনাল্টি দেওয়া হয়নি আমাদের। কিন্তু কারও খারাপ লাগবে না, কারণ এটা আফ্রিকান দল।”
ফিফার বিরুদ্ধে তোরের এই রাগ নতুন কিছু নয়। গত কয়েক মাসও ম্যাঞ্চেস্টার সিটি তারকা বলে এসেছেন, আফ্রিকান ফুটবলারদের ভাগ্যে কোনও ব্যক্তিগত শিরোপা জোটে না কারণ তারা আফ্রিকান বলে। “সত্যি বলতে কী, ভক্তরাই আমাদের আসল মূল্য বোঝে। বাকি সবাই আফ্রিকান ফুটবলারদের খারাপ চোখে দেখে।” ক্লাব সতীর্থের পাশে দাঁড়িয়ে সমীর নাসরিও জানান, তোরে আফ্রিকান হওয়ার জন্যই প্রিমিয়ার লিগের সেরা ফুটবলার হতে পারেননি। “তোরে যদি আফ্রিকান না হত সবাই বলত ও বিশ্বের সেরা মিডফিল্ডার। খুবই খারাপ লাগে ভাবতে এগুলো বর্তমান ফুটবলে বেড়েই চলেছে।” এবং ফরাসি তারকার কথা একশো শতাংশ সত্যি, জানিয়ে তোরে যোগ করেন, “নাসরি যা বলেছে তা খাঁটি সত্যি। ব্যালন ডি’অরে কোনও আফ্রিকান ফুটবলারদের কথা ভাবা হয় না। এ রকম আর কত দিন চলবে।”
দ্রোগবা, তোরের মতো ফুটবলাররা থাকলও, গ্রুপ টপকাতে পারেনি আইভরি কোস্ট। যে কারণে দলের কোচ পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন সাব্রি লামুচি। যিনি আবার বলেছেন, গ্রিস ম্যাচে ভুল রেফারিংয়ের মাশুল দিতে হল তাঁকে। “গ্রিস ম্যাচে খুব খারাপ হল। আমি বলব না ওরা চুরি করেছে। কিন্তু রেফারির আরও ভাবা উচিত ছিল পেনাল্টি দেওয়ার আগে।”