সেরার সেরা পুরস্কার আবিরের হাতে তুলে দিচ্ছেন সংস্থার প্রাক্তন অ্যাসোসিয়েট ভাইস প্রেসিডেন্ট নীলাঞ্জন রায়।
আনন্দক্রীড়ায় এ বার নতুন সেরার আবির্ভাব ঘটল। পুরুষদের ব্যক্তিগত দুটি বিভাগ একশো এবং দু’শো মিটার দৌড়ের পাশাপাশি রিলের চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য হওয়ার সুবাদে আবির কর্মকার এ বারের এবিপি পরিবারের বার্ষিক ক্রীড়ায় সেরার সেরা পুরস্কার পেলেন। সল্টলেক ম্যানুফ্যাকচারিং বিভাগের কর্মী আবিরের হাতে রবিবার তালতলা মাঠে ট্রফি তুলে দিলেন নীলাঞ্জন রায়। সংস্থার প্রাক্তন অ্যাসোসিয়েট ভাইস প্রেসিডেন্ট নীলাঞ্জনবাবু বললেন, “ময়দানের সেরা এই স্পোর্টস ইভেন্ট যত দিন যাচ্ছে ততই আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। বদলে যাচ্ছে অনেক কিছুই।”
আনন্দক্রীড়ায় এত দিন যাঁদের দাপট ছিল সেই দীপক সেন, কৌশিক পাল, আশিস সরকাররা সাংগঠনিক কাজের জন্য এ বার নামেননি। সেই জায়গা ভরাট করতে চলে এসেছেন আবিরের মতো আরও অনেকেই। মেয়েদের পঁচাত্তর মিটার দৌড়ে এডিটোরিয়ালের প্রীতিকা দত্ত বা পঞ্চাশোর্ধ বিভাগের হাঁটায় বিমল দাস চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেলেন অনায়াসেই। দু’নম্বরকে অনেকটা পিছনে ফেলে। ছেলেদের টাগ অব ওয়ারে বহুবারের চ্যাম্পিয়ন বিজ্ঞাপন ও বিপণন দফতরকে এ বার দাঁড়াতেই দেয়নি বারাসত ম্যানুফ্যাকচারিং। তারাই শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন। দ্বিতীয় হয় এওপিএল সল্টলেক। তৃতীয় সার্কুলেশন। তবে নতুনের আবাহনের মধ্যে ব্যতিক্রম শুধু টেলিফোন বিভাগের রমা মজুমদার। চল্লিশোর্ধ মেয়েদের হাঁটায় এ বারও চ্যাম্পিয়ন তিনি। টানা পাঁচ বার। মিউজিক্যাল চেয়ারেও দ্বিতীয় হন রমা। প্রথম দীপান্বিতা ঘোষ।
‘আনন্দ ক্রীড়া ২০১৫’-য় যেমন খুশি সেজেছে কচিকাঁচারা। রবিবার, তালতলা গ্রাউন্ডে।
এ দিন সকাল থেকেই বার্ষিক এই উত্সব ঘিরে ছিল সংস্থার কর্মী ও তাঁদের পরিবারের মধ্যে তীব্র উত্সাহ এবং উদ্দীপনা। প্রায় সাতশো প্রতিযোগী নেমেছিলেন ২১ ইভেন্টে। সকালে কর্মীদের ছেলে-মেয়েদের দৌড় দিয়ে শুরু হয় প্রতিযোগিতা। শেষ হয় ফ্যান্সি ড্রেসে। সবথেকে বেশি ভিড় ছিল ছেলেদের বাস্কেট দ্য বল এবং মেয়েদের চামচ-গুলি ইভেন্টে। ফ্যান্সি ড্রেস বিভাগে এ বার ছিল রেকর্ড সংখ্যক প্রতিযোগী। ছোটদের এই আকর্ষণীয় ইভেন্টে দু’বছরের কৈরব চৌধুরী রাজার পোশাকে নেমে সবাইকে চমকে দেয়। পুলিশ সেজে প্রথম সাত্ত্বিক মাঝি। ‘পিকে’ সেজে দ্বিতীয় তমান্না সাহা। তৃতীয় মত্সকন্যা সেজে মোহর হাজরা। যুগ্মভাবে মোহরের সঙ্গে তৃতীয় কৈরব।
ছবি: প্রদীপ আদক