জয়ের মুহূর্তে উচ্ছ্বসিত জিম্বাবোয়ে ক্রিকেটাররা। ছবি: এএফপি।
২০০১ সালের নভেম্বরে শেষবার বিদেশে টেস্ট জিতেছিল জিম্বাবোয়ে। ১৭ বছর পর যা এল বাংলাদেশে। সিলেটে মঙ্গলবার দুপুরে জিম্বাবোয়ে সিরিজের প্রথম টেস্টে ১৫১ রানে হারাল বাংলাদেশকে। যা সেদেশের ক্রিকেটে ঐতিহাসিক মুহূর্ত হয়ে থাকল।
৩ নভেম্বর টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জিম্বাবোয়ে অধিনায়ক হ্যামিলটন মাসাকাদজা। প্রথম ইনিংসে জিম্বাবোয়ে করে ২৮২। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ১৪৩ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে জিম্বাবোয়ে তোলে ১৮১ রান। চতুর্থ ইনিংসে জেতার জন্য বাংলাদেশকে করতে হত ৩২১ রান।
এদিন বিনা উইকেটে ২৬ নিয়ে সকালে শুরু করেছিল বাংলাদেশ। প্রথম উইকেটে ওঠে ৫৬ রান। তারপর নিয়মিত পড়তে থাকে উইকেট। মাহমুদুল্লাহর দলের ইনিংসে দাঁড়ি পড়ে ১৬৯ রানে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে ঘাতক হয়ে ওঠেন লেগস্পিনার ব্র্যান্ডন মাভুতা। তিনি ২১ রানে নেন চার উইকেট। সিকান্দার রাজা ৪১ রানে নেন তিন উইকেট।
আরও পড়ুন: রোহিতরা খেলতে নামার আগের দিন বাজপেয়ীর নামে করা হল স্টেডিয়াম
আরও পড়ুন: আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সফরে কোন দলকে এগিয়ে রাখছেন সৌরভ?
ব্র্যান্ডন মাভুতা নিলেন চার উইকেট। ছবি: এএফপি।
সার্বিক ভাবে এটা জিম্বাবোয়ের অ্যাওয়ে টেস্টে তৃতীয় জয়। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে শেষবার জিম্বাবোয়ে টেস্ট জিতেছিল। মানে পাঁচ বছর পর ঘরে-বাইরে মিলিয়ে কোনও টেস্ট জিতল জিম্বাবোয়ে। একদিনের সিরিজে সদ্য বাংলাদেশের কাছে ০-৩ হেরেছিল বলেই জিম্বাবোয়ের টেস্ট জয়ের তাত্পর্য আলাদা।
জয়ের পর জিম্বাবোয়ে অধিনায়ক হ্যামিলটন বলেন, "সবাই নিজেদের প্রয়োগ করেছে। প্রথম ইনিংসে ভাল রান তুলেছে। একদিনের সিরিজে আমরা উইকেটে টিকে থাকার চেষ্টা করিনি। টেস্টে আমরা ঠিক তাই করেছি। বোলাররা আগাগোড়া ভাল বল করেছে। বাংলাদেশের স্পিনারদের থেকে আমাদের স্পিনারদের ভাল বল করতে দেখে দারুণ লেগেছে।" বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ বলেন, "আমরা নিজেদের প্রয়োগ করতে পারিনি। প্রথম ইনিংসের সুবিধা নিতে পারিনি। উইকেট ভাল ছিল। কোনও অজুহাত দেব না। আমরা আসলে পিচ না বুঝেই বড্ড বেশি শট খেলে ফেলেছিলাম। এই ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিতে হবে। প্রত্যাঘাত করতে হবে পরের টেস্টে।"
(আইসিসি বিশ্বকাপ হোক বা আইপিএল, টেস্ট ক্রিকেট, ওয়ান ডে কিংবা টি-টোয়েন্টি। ক্রিকেট খেলার সব আপডেট আমাদের খেলা বিভাগে।)