ক্যাপ্টেন হিসেবে সফল ইউনিস খান।
২০০৯ সালে তাঁর নেতৃত্বে পাকিস্তান ইংল্যান্ড থেকে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল। তার ঠিক ছ’মাস পরে ইউনিস খান দেখেন, তাঁর মাথা থেকে নেতার শিরস্ত্রাণ কেড়ে নেওয়া হয়েছে। নেতৃত্ব থেকে তাঁকে সরানো হল কেন? তিনি তো সফল অধিনায়ক?
সম্প্রতি একটি সংবাদ মাধ্যমকে ইউনিস বলেছেন, “জীবনে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন আপনাকে হতে হবে, যখন সত্যি কথা বললে লোকে মনে করবে, আপনি উন্মাদ। কয়েক জন ক্রিকেটার নিজের সেরাটা দিচ্ছে না দেশের হয়ে খেলার সময়ে, এটা বলাই আমার দোষ ছিল।’’
টেস্ট ক্রিকেটে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ রানের মালিক ইউনিস। ক্যাপ্টেন হিসেবেও তিনি সফল। ১৯৯২ সালে ইমরান খানের নেতৃত্বে পাকিস্তান বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ২০০৯ সালে ইউনিসের ক্যাপ্টেন্সিতে পাকিস্তান টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতে। ইউনিস তবুও পাকিস্তানে খুব একটা জনপ্রিয় নন। ইউনিস বলছেন, “সেই সব ক্রিকেটাররাই পরে নিজেদের ভুলটা বুঝতে পেরেছিল। তার পরেও আমরা একসঙ্গে খেলে গিয়েছি। আমি জানতাম, আমি ভুল কিছু বলিনি। সব সময়ে সত্যি কথা বলতে হবে, এটা আমি শিখেছিলাম আমার বাবার কাছ থেকে।”
আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত পাকিস্তানের প্রাক্তন ওপেনার তৌফিক উমর
দিন কয়েক আগে প্রাক্তন পাক পেসার রানা নাভেদ পাকিস্তানের স্থানীয় নিউজ চ্যানেলে বলেছিলেন, “২০০৯ সালে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে নিউজিল্যান্ডের কাছে দুটো ওয়ানডে-তে হেরে গিয়েছিলাম। কারণ বেশ কয়েক জন ক্রিকেটার ইচ্ছা করে ভাল খেলেনি।’’ এরই নাম পাকিস্তান ক্রিকেট। যাঁরা ডোবালেন ইউনিসকে, তাঁদের কিছু হল না। নেতৃত্ব গেল ইউনিস খানের।