ধাক্কা: ঋদ্ধিমানকে ছাড়াই খেলতে হচ্ছে বাংলার। —ফাইল চিত্র।
নভদীপ সাইনি, সুদীপ চট্টোপাধ্যায় বা গত রাতে পুণেয় এসে এ দিনই খেলতে নামা দিল্লির গৌতম গম্ভীর নন। রবিবার রঞ্জি সেমিফাইনালের প্রথম দিনে শিরোনামে উঠে এলেন বাংলার উইকেটকিপার ঋদ্ধিমান সাহা।
সাত সকালেই যখন টস হচ্ছে তখনই ঝড়ের বেগে ছড়িয়ে পড়েছিল খবরটা—বাংলা দলে নেই ঋদ্ধিমান। তাঁর পরিবর্তে খেলছেন শ্রীবৎস গোস্বামী।
বাংলা দল দেখে স্বাভাবিক ভাবেই নড়েচড়ে বসেন পুণেয় আসা বাংলার সাংবাদিকেরা। কিছুক্ষণ পরে বাংলার ব্যাট করতে নামার ঠিক পাঁচ মিনিট আগে প্রথম ঋদ্ধিমানের দলে না থাকার খবরটা দেন কোচ সাইরাজ বাহুতুলে। সাংবাদিকদের তিনিই প্রথম বলেন, ‘‘জ্বর হয়েছে ঋদ্ধির। তাই দলে নেই।’’
পরে ম্যাচ দেখতে পুণে যাওয়া বাংলার নির্বাচক অরূপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘সকালেই জেনেছি খবরটা। জ্বরের সঙ্গে মাথা ব্যথা রয়েছে ঋদ্ধির।’’ স্টেডিয়ামে হাজির সিএবি-র যুগ্ম সচিব অভিষেক ডালমিয়াও বলেন, ‘‘সকালেই জেনেছি। এর বেশি কিছু জানি না।’’
তার পর থেকেই ঋদ্ধিমানের শারীরিক অবস্থা নিয়ে খোঁজ খবর শুরু হয়ে যায়। কোথায় রয়েছেন বাংলার এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান, সে ব্যাপারেও শুরু হয় খোঁজখবর। লাঞ্চের সময় জানা যায়, মাঠে এসেছেন ঋদ্ধি। তবে ড্রেসিংরুমে বিশ্রাম নিচ্ছেন। ডাক্তার ওষুধ দিয়েছেন।
পরে দলের ক্রিকেট অপারেশন ম্যানেজার জয়দীপ মুখোপাধ্যায় প্রচার মাধ্যমকে বলেন, ‘‘এ দিন সকাল সাড়ে ছ’টার সময় দলের ফিজিওকে এসএমএস করে ঋদ্ধি জানায় জ্বর এসেছে। যা জানতে পেরে ঋদ্ধির ঘরে ছুটে যায় টিম ম্যানেজমেন্ট। তার পরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কোচ-অধিনায়ক মিলে সিদ্ধান্ত নেয়, ঋদ্ধিকে খেলিয়ে ঝুঁকি নেওয়ার দরকার নেই। সেই জায়গায় খেলানো হোক শ্রীবৎস গোস্বামীকে।’’
যাঁকে নিয়ে এত ঘটনা সেই ঋদ্ধিমান যদিও প্রথম দিনের খেলা শেষে দলের সতীর্থদের সঙ্গে এক বাসেই হোটেলে ফিরলেন। ফেরার সময় তিনি বলে যান, ‘‘জ্বর হওয়ায় সেমিফাইনালে খেলা সম্ভব হল না আমার।’’ ঋদ্ধির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। তা হলে কি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য কলকাতা ফিরে যাবেন? জবাবে বাংলার এই উইকেটকিপার বলেন, ‘‘এখনও ঠিক হয়নি।’’ রাতে জয়দীপের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় রবিবার রাতে পুণে আসছেন। তিনি এলে সিদ্ধান্ত হবে ঋদ্ধিমানকে পুণেতে দলের সঙ্গে রাখা হবে না কলকাতায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’’
দিল্লির বিরুদ্ধে রঞ্জি সেমিফাইনাল ম্যাচ খেলার জন্য বোর্ডের সঙ্গে একপ্রকার লড়াই করে ঋদ্ধিমান ও মহম্মদ শামির খেলার ব্যবস্থা করেছিলেন সিএবি কর্তারা। তার পরে পুণেতে ঋদ্ধির আসা নিয়েও একপ্রস্থ নাটক হয়েছিল। এ বার ঋদ্ধি কলকাতায় ফিরবেন কি না তা নিয়েও নতুন নাটক অব্যাহত।