মহড়া: বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে উরুগুয়ের তারকা লুইস সুয়ারেস। মন্টেভিডিয়োর কাছে কম্পলেজো সেলেস্তে স্পোর্টস কমপ্লেক্সে। ছবি: এএফপি
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে সের্খিও র্যামোসের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হওয়ার পরিণতি— রাশিয়া বিশ্বকাপে অনিশ্চিত ‘মিশরের মেসি’ মহম্মদ সালাহ। খুব খারাপ লাগছে উরুগুয়ান মহাতারকা লুইস সুয়ারেসের। তিনি বললেন, ‘‘বিশ্ব ফুটবলের অন্য সবাই আমার সতীর্থ। সালাহও তাই। সতীর্থ কেউ চোট পেলে খারাপ তো লাগবেই। তাও বিশ্বকাপের ঠিক আগে।’’
শুধু তো সুয়ারেসের খারাপ লাগা নয়। গোটা মিশর এখন উত্তেজনায় ফুটছে। মিশরীয়দের চোখে র্যামোস এখন সাক্ষাত ‘কসাই’। এমনকি লিভারপুলেরই সাড়ে চার লক্ষ সমর্থক র্যামোসের শাস্তি চেয়ে সই করে স্মারকলিপি দিচ্ছে ফিফা আর উয়েফার কাছে। এখানেই শেষ নয়, মিশরের এক আইনজীবী বাসিম ওয়াহবার ১০০ কোটি ইউরো (প্রায় ৭৮২১ কোটি টাকা) ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলার পরিকল্পনা নিচ্ছেন।
বিশ্বকাপে মিশর রয়েছে উরুগুয়ের গ্রুপেই। সেই প্রসঙ্গ টেনে সুয়ারেসের মন্তব্য, ‘‘আমি সব সময়ই চাই সেরা দলগুলোর বিরুদ্ধে খেলে আমরা যে আরও ভাল সেটা বুঝিয়ে দিতে। সালাহ থাকলে মিশরের শক্তি অনেকটাই বেড়ে যাবে। তাই ওর বিরুদ্ধেও খেলতে চাই। প্রার্থনা করি, ঈশ্বর দ্রুত ওকে সুস্থ করুন। সালাহও যেন বিশ্বকাপটা উপভোগ করতে পারে।’’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘‘চার বছর আগে একই অবস্থাতেই পড়েছিলাম। তাই সালাহর মনের অবস্থাটা বুঝতে পারছি।’’
ব্রাজিল বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক এক মাস আগে সুয়ারেসও হাঁটুতে মারাত্মক চোট পেয়েছিলেন। তাঁরও খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত সুয়ারেস মাঠে নামতে পেরেছিলেন। যদিও চার বছর আগে সে বার তিনি এক ভয়ঙ্কর বিতর্কে জড়িয়ে যান, ইতালির ডিফেন্ডার জর্জিও কিয়েল্লিনিকে খেলার মধ্যে কামড়ে দিয়ে। তার পর তাঁকে ন’ম্যাচের জন্য নির্বাসিত করা হয়। যা নিয়ে সুয়ারেস বলেছেন, ‘‘আগের চেয়ে এখন আমি অনেক বেশি পরিণত। তবে ফুটবলটা এখনও আগের মতোই খেলি।’’
এমনিতে আর একটা বিশ্বকাপে খেলতে নামার আগে সুয়ারেস রীতিমতো উত্তেজিত। তাঁর কথা, ‘‘পৃথিবীর সব ফুটবলার বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন দেখে। আমার কাছে দক্ষিণ আফ্রিকা আর ব্রাজিল বিশ্বকাপ অতীত। এ বার একেবারে নতুন প্রত্যাশা নিয়ে যাচ্ছি। জানবেন, আজ পর্যন্ত ফুটবলে কেউ কিছু দয়া করে আমাকে দেয়নি। সবই নিজের কৃতিত্বে অর্জন করেছি। রাশিয়াতেও যদি ভাল কিছু করি, জানবেন তা হলে সেটাও আসলে আমি অর্জনই করব।’’
রাশিয়ায় উরুগুয়ে কত দূর যেতে পারে এমন প্রশ্নে সুয়ারেসের জবাব, ‘‘ফেভারিট সেই ব্রাজিল, জার্মানি, স্পেন, আর্জেন্তিনা আর ফ্রান্স। তবে বেলজিয়ামও কিন্তু দাবিদার। ওদের খেলা দেখেছি। দারুণ। গত বারের পুরো দলটাই খেলাবে।’’ এ দিকে, স্পেনের কাগজগুলিতে সুয়ারেসের বার্সেলোনা ছাড়ার সম্ভাবনা নিয়ে লেখালেখি প্রসঙ্গে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘সবই জল্পনা। লিয়োর (মেসি) সঙ্গে বার্সায় দারুণ আছি। এখন শুধু বিশ্বকাপ নিয়েই ভাবছি।’’