বিশ্বকাপ জ্বরে কাঁপছে দুনিয়া। দেশ-বিদেশের ফুটবলপ্রেমীদের স্বাগত জানাচ্ছে রাশিয়া। টেলিভিশনের পর্দায় খেলা তো দেখবেনই, তার সঙ্গে দেখে নিন রাশিয়ার নানা শহরের সৌন্দর্য। আয়োজক দেশ হিসেবে কী ভাবে সেজে উঠল পুতিনের দেশ— এ বার তারই ঝলক।
সোচি: রাশিয়ার ‘গ্রীষ্মকালীন রাজধানী’ বলা হয় সোচিকে। কেন জানেন? গ্রীষ্মাবকাশ কাটানোর জন্য এখানেই আছে দেশের বৃহত্তম সমুদ্র তীর। রৌদ্রজ্জ্বল দিন, আনন্দমুখর নৈশ জীবন আর নুড়ি-পাথরে ঢাকা একাধিক সমুদ্র তট এই শহরের প্রাণভোমরা। এখানকার স্টেডিয়ামে খেলা তো দেখবেনই, তবে সুযোগ পেলে বেড়িয়ে আসতে ভুলবেন না যেন।
সেন্ট পিটার্সবার্গ: এই শহরের কথা বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হবে স্টেট হার্মিটেজ মিউজিয়ামের কথা। এত সুন্দর সংগ্রহশালা পৃথিবীতে খুব কমই আছে। সুন্দর অট্টালিকার এই শহরে সময় কাটাতে এলে সঙ্গে রাখুন প্রিয়জনকে। গথিক নকশা আর আধুনিকতার মেলবন্ধনে তৈরি এই শহরের বহুতলের কারুকাজ পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। স্টেডিয়ামের কারুকাজও দেখার মতো।
সারানস্ক: রিপাবলিক অব মারডোভিয়ার রাজধানী সারানস্ক। ২০১৮-র ফিফা বিশ্বকাপের থিম পার্কও খোলা হয়েছে এই শহরে। অপূর্ব সুন্দর এই শহরের রাত বড় মায়াবী। আলোর খেলা ও নৈশ জীবনের টানে কখনও না কখনও ঘুরে আসতে মন চাইবে।
রোস্তভ অন ডন: দক্ষিণ রাশিয়ার এই শহরে প্রাচীন উপজাতিদের বাস। প্রাচীন গ্রিক কলোনি, টানা ফোর্ট, আজাক ফোর্ট এই শহরের মূল আকর্ষণ। রুশ বিপ্লব ও পুরনো সভ্যতার ছাপ এই শহরে স্পষ্ট।
কাজান: ভোলগা ও কাজানকা নদীর উপকূলে অবস্থিত দক্ষিণ-পশ্চিম রাশিয়ার শহর কাজান। রাশিয়ার এই শহরই খেলার রাজধানী। সারা বছরই নানা রকম খেলাধুলার আয়োজন থাকে এই শহরে। স্বাভাবিক ভাবেই বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি সেজে উঠেছে কাজান।