পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারে হাহাকার বিশ্বজুড়ে। ব্রাজিলের সমর্থকরা ছড়িয়ে আছেন নানা দেশেই। এবার স্বপ্ন ছিল ষষ্ঠ খেতাবের। তা তো হলই না, বরং বেলজিয়ামের কাছে হারতে হল কোয়ার্টার ফাইনালে। ছবি: রয়টার্স।
বেলজিয়ামের গোলরক্ষক কুর্তোয়া অসাধারণ খেললেন। বারবার আটকে দিলেন ব্রাজিলের আক্রমণ। নেমার, কুটিনহো, ডগলাস কোস্তারা যেভাবেই আক্রমণ গড়ুন না, শেষে কুর্তোয়াকে একবার ছাড়া হার মানানো যায়নি। অবশ্য বেলজিয়াম রক্ষণেও নির্ভরতা দিলেন ভিনেসন্ট কোম্পানিরা। ছবি: রয়টার্স।
ব্রাজিল মানেই সাম্বা। মানেই স্কিলের ঝলকানি। বল পায়ে জাদুকরী। যা দেখাই গেল না বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে। নেমার বার বার পড়ে গিয়ে, পেনাল্টি আদায়ের চেষ্টা করে গেলেন। যা ‘ভিএআর’ চালু হওয়ায় পাত্তাই পেল না রেফারির কাছে। তিতের দল বিকল্প কোনও স্ট্র্যাটেজিও দেখাতে পারল না। ছবি: এএফপি।
ব্রাজিলের রক্ষণ নিয়ে অনেক কথা বলা হচ্ছিল। এই ম্যাচের আগে পর্যন্ত মাত্র একটা গোল খেয়েছিলেন থিয়াগো সিলভা, মিরান্ডাদের নিয়ে গড়া রক্ষণ। কিন্তু, বেলজিয়াম ম্যাচে দেখা গেল রক্ষণের ভঙ্গুরতা। বার বার অ্যাজার-লুকাকুকে সামলাতে হিমসিম খেল সেলেকাওদের রক্ষণ। ছবি: এএফপি।
মেক্সিকোর বিরুদ্ধে দু’গোলে জেতা ছাড়া ব্রাজিলের আক্রমণ কখনই ছন্দোবদ্ধ দেখায়নি। স্ট্রাইকার গ্যাব্রিয়েল জেসুস গোল করতে পারেননি পুরো প্রতিযোগিতায়। নেমারের পা থেকে এসেছে একটা গোল। ফাইনাল থার্ডে বারবার বলের দখল হারানোয় সেলেকাওদের কাজ আরও কঠিন হয়ে পড়ে। ছবি: পিটিআই
কার্ড সমস্যায় খেলতে পারেননি কাজিমিরো। আক্রমণ ও রক্ষণের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করেন তিনি। তিনি খেলতে না পারায় মাঝমাঠে বিশাল শূন্যতা সৃষ্টি হয়। কাজিমিরোর পরিবর্তে আসা ফার্নান্দিনহো সেই অভাব ঢাকতে পারেননি। তাঁর আত্মঘাতী গোল হয়ে ওঠে প্রথম ধাক্কা। দ্বিতীয় গোলের ক্ষেত্রেও দায় অস্বীকার করতে পারেন না তিনি। ম্যাচের পরে ব্রাজিলের পতাকা নিয়ে শোকস্তব্ধ দম্পতির ছবি হয়ে উঠল প্রতীকী। ছবি: এএফপি।