এই জিনিসই বদলাতে চলেছে। ফাইল ছবি
উইম্বলডনের সাম্মানিক বোর্ডে এখন থেকে কোনও মহিলার নামের পাশে আর মিস (কুমারী) বা মিসাস (শ্রীমতি) লেখা থাকবে না। প্রতিযোগিতাকে আরও আধুনিক চেহারা দিতেই এটা করা হবে বলে জানিয়েছে অল ইংল্যান্ড টেনিস ক্লাব।
এতদিন ঐতিহ্যগত ভাবে শুধুমাত্র মেয়েদের ক্ষেত্রে এমনটা লেখা হত। গতবারের চ্যাম্পিয়ন অ্যাশলে বার্টি নয়, লেখা হয়েছিল শ্রীমতী এ.বার্টি। সেখানে সার্বিয়ান মহাতারকা নোভাক জোকোভিচের ক্ষেত্রে লেখা হয়েছে এন. জোকোভিচ।
এমনিতে ২০১৯ সাল থেকেই সংগঠকেরা মেয়েদের ম্যাচের ফলাফল ঘোষণা করার সময় কারও নামের আগে শ্রীমতি বা কুমারী সম্বোধন করা বন্ধ করে দিয়েছিল। যদিও এই প্রতিযোগিতায় সবসময়ই বলা হয়ে থাকে ‘জেন্টলমেন্স সিঙ্গলস’ অথবা ‘লেডিসেস সিঙ্গলস’।
মহিলাদের নাম উল্লেখের ক্ষেত্রে আরও একটা বদল আসতে চলেছে। এখন থেকে কোনও বিবাহিত মহিলার নামের সঙ্গে তাঁর স্বামীর পদবি যুক্ত করা হবে না। যেমনটা অতীতে হত। ক্রিস এভার্টকে সম্বধোন করা হত ক্রিস এভার্ট লয়েড নামে। যেহেতু সে সময় তাঁর স্বামী ছিলেন জন লয়েড।
প্রসঙ্গত, এ বারের উইম্বলডন খেলে কোনও খেলোয়াড় এটিপি পয়েন্ট পাবেন না। প্রতিযোগিতায় রাশিয়া ও বেলারুশের খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় টেনিস নিয়ামক সংস্থা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উইম্বলডন শুরু ২৭ জুন।
এ দিকে, উইম্বলডনে র্যাঙ্কিং পয়েন্ট না দেওয়া নিয়ে এ বার মুখ খুললেন কিংবদন্তি মহিলা টেনিস তারকা মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা। তিনি বলেছেন, “এমন সিদ্ধান্তের পরে খেলোয়াড়েরা কেন নাম প্রত্যাহার করে নিচ্ছে না, সেটা দেখে আমি অবাক হয়ে গিয়েছি। সকলেই তো খেলতে নামে ট্রফি জেতার জন্য। সেখানে রাতারাতি র্যাঙ্কিং পয়েন্ট না দেওয়ার বিষয়কে আমি সমর্থন করতে পারছি না।” তিনি আরও বলেছেন, “র্যাঙ্কিং পয়েন্ট বিষয়টা কিন্তু কোনও অলঙ্কার নয়। এর উপরে খেলোয়াড়দের অনেক কিছু নির্ভর করে। সেটা নিয়েও এটিপি বা ডব্লিউটিএ-র চিন্তা করা উচিত ছিল।”