Sania Mirza

Sania Mirza: সবাই হেসেছিল, তাতেই জেদটা বেড়ে যায়! অবসরের বছরে উইম্বলডন তুলে ধরল সানিয়ার গল্প

এ বারের উইম্বলডন থেকে বিদায় নিয়েছেন সানিয়া মির্জা। তার পরেও উইম্বলডনের গল্প ভারতীয় টেনিস তারকার মুখে। কী বললেন তিনি?

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২২ ১৯:৫৯
Share:

উইম্বলডনের গল্প শোনালেন সানিয়া ফাইল চিত্র

এ বারের উইম্বলডনের ফাইনালে ওঠা হয়নি। মিক্সড ডাবলসের সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে। মন খারাপ নিয়ে প্রিয় উইম্বলডন ছাড়লেও ঘাসের কোর্টের গল্প ঘুরছে সানিয়া মির্জার মুখে। কী ভাবে ২০১৫ সালের উইম্বলডনে মিক্সড ডাবলস জিতেছিলেন সেই লড়াইয়ের গল্প শোনালেন সানিয়া।

Advertisement

সানিয়ার একটি ভিডিযো প্রকাশ করেছে উইম্বলডন। সেখানে সানিয়া বলেছেন, ‘‘আমার মধ্যে যে লড়াকু, জেদি মেয়েটা আছে সেই মেয়েটাই আমাকে বিশ্বের এক নম্বর করেছিল। সবাই বলেছিল পারব না। কেউ বিশ্বাস করেনি। আমার মা-বাবাকে নিয়ে হেসেছিল। তার জবাব দিয়েছিলাম।’’

জুনিয়র স্তরে ২০০৩ সালে উইম্বলডন জিতেছিলেন সানিয়া। তার পর থেকে ঘাসের কোর্ট তাঁর সব থেকে পছন্দের। সেই পছন্দের কোর্টে সাফল্য পেতে অবশ্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে তাঁকে। সেই পরিশ্রমের গল্পও বলেছেন সানিয়া। তাঁর কথায়, ‘‘বড়দের স্তরে খেলা শুরু করার পরে ক্রমতালিকায় খুব দ্রুত ২০০ থেকে ৩০-এ উঠে এসেছিলাম। আমার প্রতিটা ছোট ছোট সাফল্যে আমার পরিবার আনন্দ পেয়েছে। ব্যর্থতার সময় পাশে দাঁড়িয়েছে। একটা সময় পরে বার বার চোট পেতে থাকি। সেখান থেকে ফিরে আসা সহজ ছিল না। কঠিন পরিশ্রম করেছিলাম। তার ফল পেয়েছি।’’

Advertisement

মেয়েদের টেনিসে যে কয়েক জন খেলোয়াড় জোরে ফোরহ্যান্ড মারতে পারেন তাঁদের মধ্যে সানিয়া উল্লেখযোগ্য। কিন্তু তাঁর ফোরহ্যান্ড নয়, তাঁর মানসিকতা তাঁকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে বলে মনে করেন সানিয়ার বাবা ইমরান মির্জা। তিনি বলেন, ‘‘সানিয়া কোনও দিন ম্যাচ হেরে কাঁদেনি। ওর মনের জোর সাংঘাতিক। ওকে আমরা ছোট থেকে বলেছিলাম, টেনিস তোমার জীবনের একটা অংশ, জীবন নয়। তাই কোনও চাপ না নিয়ে ও খেলতে নামত। ২০১৫ সালের উইম্বলডনের ফাইনালেও সেটা হয়েছিল। তৃতীয় সেটে ২-৫ পিছিয়ে থাকা অবস্থা থেকে ফিরে এসেছিল সানিয়ারা।’’

খেলতে খেলতে হঠাৎই পাকিস্তানের ক্রিকেটার শোয়েব মালিককে বিয়ে করেন সানিয়া। ছেলে হওয়ার পরে ফের টেনিস কোর্টে ফেরেন তিনি। তাঁর এই ফিরে আসা অনেক মহিলাকে শক্তি দিয়েছে বলে মনে করেন সানিয়া। তিনি বলেন, ‘‘ক্রমতালিকায় ৮ নম্বরে থাকার সময় টেনিস ছেড়েছিলাম। ছেলে হওয়ার পরে আবার ফিরব বলে ঠিক করি। কঠিন ছিল। কিন্তু অসম্ভব ছিল না। আমার গল্প যদি এক জন মহিলাকেও সাহায্য করে তা হলে সেটা হবে আমার জীবনের সেরা পাওয়া।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement