নোভাক জোকোভিচ সাত বারের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন। ছবি: রয়টার্স
যে কোর্টে রবিবার দাপট দেখিয়েছেন বাবা, সেই কোর্টেই সোমবার দেখা গেল সন্তানদের দৌরাত্ম্য। রবিবার বিপক্ষকে অনায়াসে কাবু করলেও সোমবার হার মানতে বাধ্য হলেন সন্তানদের কাছে। বাবা নোভাক জোকোভিচ সাত বারের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন। ২১টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। যে সেন্টার কোর্টে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বার বার ঘাস চিবিয়েছেন, সেখানেই নাস্তানাবুদ হলেন ছেলে-মেয়ের কাছে।
রোদ ঝলমলে সেন্টার কোর্টের সবুজ ঘাসের উপর রাখা উইম্বলডনের সোনালি ট্রফিটা। মেয়েকে পিঠে নিয়ে দৌড়চ্ছেন জোকার। পিছনে ধাওয়া করেছে ছেলে। মেয়েকে পিঠ থেকে নামিয়ে সাইড লাইনের ধারে দাঁড়িয়ে হয়তো টেনিসেরই পাঠ দিচ্ছিলেন। বা হয়তো বোঝাচ্ছিলেন সেন্টার কোর্টের ঘাসগুলোর মাহাত্ম্য। কিন্তু পাঁচ বছরের মেয়ের তো আর তাতে মন নেই। সে নাছোড়বান্দা, বাবার পিঠে চেপে সেন্টার কোর্টটা চক্কর মারবে। অগত্যা মাথা নীচু করে, হাঁটু মুড়ে বসে পিঠে তুলে নিলেন মেয়েকে। মেয়ের মুখে হাসি, বাবার মুখেও। ‘হেরে’ গিয়েও তখন আবার সেন্টার কোর্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অভিব্যক্তি জোকারের চোখে-মুখে।
সব শেষে ছেলে-মেয়ে এবং স্ত্রী জেনিলাকে সঙ্গে নিয়ে ছবি তুললেন। তখন ছেলের হাতে উইম্বলডন ট্রফি। ভারী ট্রফিটি আরেকটু হলেই আট বছরের ছেলের হাত থেকে পড়ে যাচ্ছিল। যে ভাবে আগের ছ’টি ট্রফি সযত্নে বাড়ির লকারে সাজিয়ে রেখেছেন, সাত নম্বরের বেলাতেও সঙ্গে সঙ্গে সামলে নিলেন জোকোভিচ। উইম্বলডনের পোস্ট করা ভিডিয়োতে লেখা, ‘পার্ট-টাইম চ্যাম্পিয়ন, ফুল-টাইম ড্যাড।’
উইম্বলডন ট্রফি জিতে জোকোভিচ বলেছিলেন, “আমার মেয়ের এখনও পাঁচ বছর বয়স হয়নি। সেই কারণে মাঠে বসে খেলা দেখতে পারেনি ও। আশা করছি পরের বছর ও আমার খেলা মাঠে বসে দেখতে পারবে।”
এটাও আশা করছেন, আট নম্বর ট্রফিটা হয়ত ২০২৩ সালের উইম্বলডনের দ্বিতীয় রবিবার ছেলে-মেয়ের হাতে তুলে দিতে পারবেন। আবার সপরিবার মাতবেন অল ইংল্যান্ড ক্লাবের সবুজ সেন্টার কোর্টে।