ছবি সংগৃহীত।
এ বার খেলার মাঠেও কি ঢুকে পড়ছে কেন্দ্র বনাম রাজ্য লড়াই?
চর্চায় চলে আসছে সামনের বছর ভারতে অনুষ্ঠেয় মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের সূচি। ফুটবলের প্রাণকেন্দ্র কলকাতাকে সে রকম কোনও ভাল ম্যাচই দেওয়া হয়নি। শুধু জুটেছে একটি কোয়ার্টার ফাইনাল। চারটি কোয়ার্টার ফাইনাল হবে আমদাবাদ, কলকাতা, নবি মুম্বই এবং ভুবনেশ্বরে। ১৭ ফেব্রুয়ারি গুয়াহাটিতে উদ্বোধন। নবি মুম্বইতে ফাইনাল ৭ মার্চ। অর্থাৎ, শুরু বা শেষের আতসবাজি, কোনওটাই দেখার বরাত পাচ্ছে না কলকাতা। শুধু তা-ই নয়, সূচিতে ভারতের কোনও ম্যাচও বরাদ্দ করা হয়নি কলকাতার জন্য।
নতুন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেণ রিজিজুর আমলে বরং দেখা যাচ্ছে পূর্বাঞ্চল থেকে অনেক বেশি প্রাধান্য পেয়েছে গুয়াহাটি বা ভুবনেশ্বর। উদ্বোধনী ম্যাচ হচ্ছে গুয়াহাটিতে। একটি কোয়ার্টার ফাইনাল এবং একটি সেমিফাইনাল পেয়েছে ভুবনেশ্বর। গ্রুপ পর্বে ভারতের মেয়েদের তিনটি ম্যাচ রয়েছে যথাক্রমে ১৭, ২০ এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি। তিনটিই গুয়াহাটিতে।
২০১৭-তে অনূর্ধ্ব-১৭ ছেলেদের বিশ্বকাপ দারুণ ভাবে আয়োজন করেছিল কলকাতা। সে বারে সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল হয়েছিল যুবভারতীতে। চব্বিশ ঘণ্টার নোটিশে গুয়াহাটি থেকে চলে আসা সেমিফাইনাল ম্যাচ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আয়োজন করে দিয়ে ফিফার প্রশংসা জিতে নিয়েছিল রাজ্য। আকর্ষণীয় ফাইনালে স্পেনকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড। প্রত্যেকটি ম্যাচে নজর কেড়ে নেওয়ার মতো দর্শক উপস্থিতি নিয়েও ফিফার শংসাপত্র পেয়েছিল এ রাজ্য।
ছেলেদের পরে এ বারের মেয়েদের বিশ্বকাপ। মাঝে কেটে গিয়েছে তিন বছর। গত বারের সফল আয়োজনের ‘পুরস্কার’ হিসেবে কলকাতা হারিয়ে গিয়েছে বিশ্বকাপের সূচি থেকে! কেন? ‘‘জানি না এই সূচি তৈরির ব্যাপারে ঠিক কী ধরনের যুক্তি কাজ করেছে। তবে গত বার যে রকম সফল ভাবে আমরা যুব বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিলাম, তার পরে এই সূচি বাংলার প্রাপ্য কি না, সেই প্রশ্ন আমাদের রয়েছে,’’ বলছেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
বিস্মিত প্রাক্তন তারকা শ্যাম থাপাও। বললেন, ‘‘ফুটবল নিয়ে কলকাতার মানুষের যা উন্মাদনা, তা কোথাও দেখা যায় না। তিন বছর আগে যুব বিশ্বকাপের সময় গোটা বিশ্ব দেখেছিল কলকাতার ফুটবলপ্রেমীদের আবেগ। আশা করেছিলাম, অনূর্ধ্ব-১৭ মেয়েদের বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের কয়েকটি খেলা অন্তত কলকাতায় দেওয়া হবে।’’ তাঁর প্রশ্ন, ‘‘কলকাতায় অন্তত একটা সেমিফাইনাল কি দেওয়া যেত না?’’ শ্যাম থাপার সঙ্গে একমত ভারতীয় মহিলা ফুটবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক কুন্তলা ঘোষ দস্তিদার। বললেন, ‘‘ভারতীয় দল এখানে যা সমর্থন পেত, তা অন্য কোথাও পাবে না।’’