গত বার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলতে পারেননি নোভাক জোকোভিচ। কিন্তু এ বারের প্রতিযোগিতায় দেখা যাবে ২১টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিককে। —ফাইল চিত্র
গত বার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলা হয়নি তাঁর। কোভিড টিকা না নেওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার নামার পরেও সেখান থেকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল নোভাক জোকোভিচকে। তবে এ বার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলতে বাধা নেই তাঁর। ইতিমধ্যেই অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছে অনুশীলন শুরু করেছেন জোকোভিচ। তিনি জানিয়েছেন, আগের বারের ঘটনার পরেও অস্ট্রেলিয়ার সরকার বা অস্ট্রেলিয়ান ওপেন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ নেই তাঁর।
মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ায় পা দিয়ে জোকোভিচ বলেছেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়ায় এসে খুব ভাল লাগছে। এই দেশ আমাকে অনেক সাফল্য দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে আমি সব থেকে বেশি সফল। আশা করছি এ বারও সেটা হবে। আগে থেকে তো কিছু বোঝা যায় না। তবে আমি নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। কারও বিরুদ্ধে আমার কোনও ক্ষোভ নেই।’’
কারও বিরুদ্ধে ক্ষোভ না থাকলেও দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার স্মৃতি ভুলতে পারছেন না জোকার। তিনি বলেছেন, ‘’১২ মাস আগেই সেই ঘটনা ঘটেছে। তাই সহজে সেটা ভোলা যায় না। আমার পরিবারও সেই ঘটনায় খুব আঘাত পেয়েছিল। কিছু ঘটনা সারা জীবন মনে থাকে। এটাও তেমনই। এর আগে আমার জীবনে এমন কিছু ঘটেনি। আশা করছি আগামী দিনেও ঘটবে না। সব কিছু বাদ দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। সেটাই করছি।’’
২১টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক জোকোভিচ ৯ বার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতেছেন। তিনি শেষ যে তিন বার এই প্রতিযোগিতায় নেমেছেন তিন বারই জিতেছেন। গত বার জোকোভিচ না থাকায় অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতেছিলেন রাফায়েল নাদাল।
এ বার যে জোকোভিচ অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলতে পারবেন তার ইঙ্গিত আগে থেকেই মিলেছিল। গত মে মাসে অস্ট্রেলিয়ায় ক্ষমতায় এসেছে নতুন সরকার। প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন অ্যান্টনি অ্যালবানিজ। তার পরেই বদলেছে পরিস্থিতি। নতুন সরকার কোভিড বিধি শিথিল করেছে। অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের ক্ষেত্রে কোভিড টিকা আর বাধ্যতামূলক রাখছে না সরকার। পাশাপাশি, অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের ক্ষেত্রে জোকোভিচের উপর তিন বছরের যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তা-ও প্রত্যাহার করে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন নতুন অভিবাসন মন্ত্রী অ্যান্ড্রু জাইলস। জোকোভিচকে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলতে দেওয়ার ব্যাপারেও সম্মত হয়েছিলেন তিনি। তার পরেই আগামী বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেলতে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছেন জোকোভিচ।